সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদেশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। ফক্স স্পোর্টস, টেলিগ্রাফসহ অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম সাকিবের বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে। এমনকি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গণমাধ্যমগুলো।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৮১তম ওভারে নতুন বল পায় বাংলাদেশ। নতুন বল শক্ত ও মসৃন থাকায় টার্নের জন্য বলটা মাটিতে ঘষে নেন সাকিব। আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের ঠিক পেছনেই এমনটি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বল টেম্পারিং আইনে বলা আছে, কোনো অবস্থাতেই বলের স্বাভাবিক অবস্থা বিকৃত করা যাবে না। ক্রিকেট আইনের ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, বল মাটিতে ঘষা, কিংবা বলের উজ্জ্বলতা নষ্ট করলে সেটা টেম্পারিংয়ের আওতাভুক্ত হবে।
বল টেম্পারিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বলের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে কৃত্রিম কিছু যেমন থুতু বা ঘাম ব্যবহার করা যাবে। বলে কাদা লাগলে বা ভিজে গেলে সেটা শুকনো কাপড় দিয়ে মোছা যাবে। এর বাইরে কোনো কিছু করাই হবে বল টেম্পারিং। নখ দিয়ে খোঁচা দেওয়া বা আচড় দেওয়া, বলে কামড় দেওয়া, পায়ের বুটের সুচালো অংশ দিয়ে আঘাত করা, প্যান্টের জিপারের সাহায্যে বলে দাগ কাটনোর চেষ্টা, ভ্যাসলিন, ক্রিম, কৃত্রিম লালা ব্যবহার করা যাবে না। এমনটা হলে সেটা বল টেম্পারিং বলে গণ্য হবে। মাটিতে সাকিবের বল ঘষার বিষয়টি অবশ্য আম্পারের নজর এড়িয়ে যায়।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। হতে পারে জরিমানা, নিষিদ্ধ হতে পারেন ম্যাচও। অবশ্য এ বিষয়ে ম্যাচ রেফারি এখনো কোন ব্যাখা দেননি। আইসিসিও এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।