ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থার আগের চেয়ে ভাল। সে চোখ খুলেছে, হাত-পাও নেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার। আজ শনিবার দুপুর একটার সময়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এরআগে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ৪ অক্টোবর সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯ বছরের একটি রোগী আমাদের এখানে আসেন। তার মাথায় কোপানোর আঘাত রয়েছে। একারণে তার মাথায় একটি অপারেশনও করা হয়েছে।
তার চিকিৎসার ব্যাপারে আপনাদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। ওই রোগীকে ৭২ ঘন্টা পর্যবেকক্ষণ করার পরেও আরো কিছু সময় পর্যবেকক্ষণে রাখা হয়েছিল। সময়ই বলে দিবে কতক্ষণ লাগতে পারে। কি উন্নতি হয়েছে আর কি উন্নতি হতে পারে তা বলতে পারবেন নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত তিনিই বলবেন।
ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, ‘৭২ ঘন্টা পর্যবেকক্ষণ করার পরেও আরো কিছু সময়ে পর্যবেকক্ষণে রাখা হয়েছিল। পর্যবেকক্ষণে রাখার উদ্দেশ্যে পার্ট অফ ট্রিটমেন্ট প্রথমত আমাদের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ছিল তার কনসাসনেসের উন্নতি করা। আরো ৯৬ ঘন্টার পরে বলা যাবে তার কি অবস্থা। তবে সে চোখ খুলেছে এবং ডান হাত ডান পা নেড়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে প্রেমে সাড়া না দেয়ায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলম।
পরে জনতা তাকে গন পিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেন। পরের দিন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বদরুল এখন ছাত্রলীগের কেউ নন। আমরা তার বিচারের দাবি করছি।’
পূর্ববর্তী পোস্ট