মায়ানমারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ যেন কোনো মতেই থামছে না। রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট যেসব রোহিঙ্গা এখনো দুঃসাহসের সঙ্গে রয়ে গেছেন তাদের মঙ্গলবারের (১২ সেপ্টেম্বর ) মধ্যে এলাকা ছাড়তে আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া মাইকিং রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে মংডু, রাচিদং ও বুচিদং তিনটি শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মায়ানমার ছাড়ার মাইকিংয়ে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মায়ানমারে অবস্থানকারী সব রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগ করতে হবে। আরাকানের স্বাধীনতাকামী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) তথা আরসা একমাসের জন্য অস্ত্র বিরতি ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে এ মাইকিং শুরু হয়েছে।
গত দুসপ্তাহে রাষ্ট্রীয় বাহিনী আর বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর চালানো ‘গণহত্যায়’ আরাকানের সর্বত্র লাশ আর লাশ, পথে প্রান্থরে মুসলিম রোহিঙ্গাদের রক্তের বন্যা, আগুনে পোড়া লাশের দুর্গন্ধে আরাকানের বাতাস দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। এসব কিছু গোপন করতেই সু চির সরকারের বাহিনী সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মীসহ আন্তর্জাতিক মহলের সদস্যদের সেখানে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাশূন্য পাড়ায় লাল পতাকা, রাখাইনে যেসব পাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে ওসব এলাকায় সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে লাল পতাকা ওড়াছে। পাহারায় রাখা হয়েছে স্থানীয় রাখাইন যুবকদের।