নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার ও তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠীত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টাই বাংলাদেশ ন্যসনাল আওয়ামীলীগের আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠীত হয়। এ সময় সাতক্ষীরা ন্যাপ সহসভাপতি হায়দার আলি সান্তর সভাপত্বিতে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুর রহমান, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, প্রগতিশীল সংগঠনের আহবায়ক মোঃ মুনসুর রহমান, বাস্তহারা লীগের আব্দুস সামাদ, বাসদ সংগঠনের এড খগেন্দ্রনাথ ঘোষ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার মুহাঃ গোলাম এলাহী তুয়ারডাঙ্গা মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তালিকায় গেজেট ভুক্ত (ভিপি সম্পত্তি) এস.এ ১৯৮ নং খতিয়ানে ২১৫ দাগে ৪.৪২ একর এবং এর মধ্যে ৪.৩৯ একর জমি দুই টি দলিলে গত ৫ মে রেজিষ্ট্রি সম্পূর্ণ করেছেন যার মধ্যে একটি দলিল নং ১৩৯৩ গ্রহিতা তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের রিয়াজউদ্দিন সরদারের পুত্র রওশন সরদার ও ইব্রাহিম সরদারের পুত্র জাকির হোসেনের জমির পরিমান ১.৪২ একর। অপর দলিল নং ১৩০৯২ গ্রহিতা তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের গনেশ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী পুস্প রাণী মন্ডল জমির পরিমান ২.০৯৭ একর যার দুইটি দলিলেরই দাতা ছিলেন তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত কালিপদ ধানকির পুত্র কৃষ্ণপদ ধানকি। তবে সরকারি নিতি মালাকে তুয়াকা না করে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উল্লেখিত দলিল রেজিষ্ট্রি করা কালে কোন মিউটেশন ও খাজনার চেক দাখিল জমা ছাড়াই রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। অপরদিকে তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির উপস্থিতি ও আপস নামার স্বাক্ষর দেখিয়ে এক জনের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দিয়েছেন। হাজরাকাটি মৌজার শরবানু বেগম এবং কহিনুর বেগমের সম্পত্তি রেকর্ড করে নেয়ার জন্য ৩৭৯ ডিপি খতিয়ানে ৩১ ধারায় মামলা করেন ওই রেকর্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয় পরে বিরোধি পক্ষ ওমর খাঁ ও ইমাদুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে মৃত গহর আলী ও শহর আলীকে হাজির দেখিয়ে তাদের মধ্যে আপস নামা তৈরি করে বিবাদি পক্ষে রেকর্ড বহাল দেখান। এ সময় বক্তারা আরও বলেন আশাশুনি উপজেলার সাব রেজিস্টার মুহাঃ গোলাম এলাহী এবং তালা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গাজী মনিরুজ্জামনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান। সেই সাথে কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দুর্নীতির কারনে জনগনের দুর্ভোগ বেড়েছে এ জন্য এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত।
পূর্ববর্তী পোস্ট