মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জীবনে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ভাষণের এক পর্যায়ে নর্থ কোরিয়া ও ইরানকে শয়তানি রাষ্ট্র আখ্যা দেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা এর বন্ধুরাষ্ট্রের সহ্যের সীমা লঙ্ঘন করলে নর্থ কোরিয়াকে গুড়িয়ে দেয়া হবে।’
নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উনকে ‘রকেটম্যান’ ডেকে বিদ্রূপ করে তিনি বলেন, ‘রকেটম্যান তার আত্মঘাতী মিশনে নিয়োজিত রয়েছে।’
ইরানের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত একনায়কতন্ত্রের এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
এছাড়া তার বক্তব্যে ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলা, সমাজতন্ত্র, ইসলামিক চরমপন্থি, সন্ত্রাসবাদসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেও প্রায় চল্লিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কিছুই বলেননি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাইবেলের ভাষা ও শব্দের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘পৃথিবীর ভদ্র জাতিগুলো শয়তান শাসকদের মুখোমুখি হয়েছে। পৃথিবীর বুকে এখন একটি শয়তানি শাসকদের দল রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত জাতিসংঘের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে চলেছে। তারা তাদের নিজেদের দেশের নাগরিকদের তো নয়ই, এমনকি নিজ দেশের সার্বভৌম অধিকারকেও সম্মান করে না।
“যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ন্যায়বানরা সংখ্যালঘু শয়তানগুলোর মুখোমুখি না হয়, তাহলে শয়তানরা জয়লাভ করবে। ইতিহাসে যখন শোভন মানুষরা দর্শক হয়ে যায়, তখনই ধ্বংসাত্মকরা তখনই শক্তি পায়।”