নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরা বন্দরে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালকদের অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আটজনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসাথে বাদি জাকির হোসেন এক এফিডেফিডে আসামিদের নির্দোষ সাজিয়ে মঙ্গলবার আদালতের কাঠ গড়ায় আট আসামীর পক্ষে জামিনে সহায়তা করায় আদালতে নির্দেশে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে কোর্ট হাজতে আটকে রাখেন। সাতক্ষীরা আমলি আদালত-১ এর বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ আসামিদের জামিন ও বাদিকে আটকে রাখার এই নির্দেশ দেন ।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ভোমরা গ্রামের মিয়ারাজ হোসেনের ছেলে বাদি জাকির হোসেন মোটা অংকের টাকা নিয়ে এফিডেফিড দিয়ে আসামিদের জামিনে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় আ ’লীগ নেতাদের।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, সদর থানার জিআর- ৭৪৭/১৭ নং মামলার ১১ আসামীর মধ্যে মুনসুর আলী, সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, খোকা, মন্টু হোসেন, সোহরাব হোসেন, সুমন ও এরশাদকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা আমলি আদালত প্রথম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানায়। এ সময় বাদি জাকির হোসেন এক এফিডেফিডের মাধ্যমে আসামিদের নির্দোষ বলে তাদের জামিন দিলে তার কোন আপত্তি নেই বলে কাঠগড়ায় থেকে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ ধরনের স্পর্শকতার মামলায় আসামীদের জামিনে বাদী প্রভাবিত হয়েছে মনে করে তাকে কোর্ট হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ। এরপর বিকেল ৫টার দিকে তাকে খাস কামরায় ডেকে বিস্তারিত জেনে তাকে সতর্ক করে মুক্তির আদেশ দেন।
নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক পলাশ হোসেনসহ কয়েকজন জানান, আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জাকির এই মামলার আসামিদের জামিনে সহযোগিতা করেছেন। যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে তাদের জামিনে সহায়তা করা গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে তারা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় জাকির হোসেনের ০১৭৪৪-৬৪৭০৭২ নং মোবাইল ফোনে কয়েক বার রিং দিলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভি করেননি। পরে তিনি ফোনটি বন্ধ করে দেন।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল বারী এ মামলার বাদী জাকির হোসেনকে কোর্ট হাজতে পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোমরা স্থলবন্দর মটর সাইকেল চালক সমিতির অফিসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৬০, তারিখ-২২.০৯.১৭।
পূর্ববর্তী পোস্ট