কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার জন্য রাজধানী বার্সেলোনায় চলছে গণভোট। স্পেনের সরকার এর বিরুদ্ধে। তাই পুলিশের বাধার মুখে ভোট দিতে গিয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা। আহত হয়েছেন তিনশতাধিক ব্যক্তি। এমন অবস্থায় নিরাপত্তার খাতিরে রবিবার বার্সেলোনা ও লাস পালমাসের লা লিগা ম্যাচটি হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। অচেনা সেই নিস্তব্ধ ন্যু ক্যাম্পে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে জিতেছে কাতালানরা। লাস পালমাসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লিগে শতভাগ সফলতা ধরে রাখলো বার্সেলোনা।
ম্যাচটি বাতিল করতে সুপারিশ করেছিল বার্সেলোনা ফুটবল কমিটি। কিন্তু তাদের প্রত্যাখ্যান করে লা লিগার শীর্ষ কর্মকর্তারা। যথাসময়ে দুই দল মাঠে নামলেও ছিল না কোনও দর্শক। তাই সবসময়ের প্রাণচঞ্চল ন্যু ক্যাম্পকে বড্ড অচেনা লাগছিল, যেন খেলোয়াড়দের অনুশীলন চলছিল।
সুনসান নীরবতায় লা লিগার সপ্তম রাউন্ডের এ ম্যাচটি প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এ সময়ে অবশ্য দুই দলই কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। ২১ মিনিটে মেসির ফ্রিকিক গোলপোস্ট বরাবর গেলেও পালমাস গোলরক্ষক চিচিজোলা ঠেকিয়ে দেন। তবে ৭ মিনিট পর পালমাস সুযোগ তৈরি করেছিল, বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের বাধায় সফল হয়নি তারা।
৩৩ মিনিটে সের্হি রবার্তোর সুন্দর পাস কাজে লাগাতে পারেননি পাউলিনিয়ো। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের শট গোলবারের বেশ বাইরে দিয়ে চলে গেলে বার্সা গোলমুখ খুলতে পারেনি। বিরতিতে যাওয়া দুই মিনিট আগে শেষবার সুযোগ পায় পালমাস। ক্যালেরির শট গোলপোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। ৪৯ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে সের্হিয়ো বুসকেতসের হেডে ১-০ করে স্বাগতিকরা। প্রথম গোল বানিয়ে দেওয়ার পর দুইবার নিজের চেষ্টায় পালমাসের জালে বল পাঠান মেসি। ৭০ মিনিটে দেনিস সুয়ারেসের পাস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে নাচিয়ে লক্ষ্যভেদী শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লুই সুয়ারেসের বানিয়ে দেওয়া বলে ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী।
৭ ম্যাচের সবগুলো জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে সেভিয়া। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ১১ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে। এস্পানিওলের বিপক্ষে রাতে মাঠে নামছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।