বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগাতে প্রয়োজনে দেশের মানুষ একবেলা করে খাবে। অন্য বেলার খাবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষের খাবারের সংস্থান করতে পারি,তাহলে আরও পাঁচ-সাত লাখ রোহিঙ্গার খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারবো। তাদের এই বিপন্ন সময়ে প্রয়োজনে আমরা একবেলা করে খেয়ে অন্য বেলার খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবো। আমরাও তো মানুষ। আর আমরা সবসময় মানবতার পক্ষে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় রিটজ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধনী দেশ নই। তবে আমাদের হৃদয় অনেক উদার। তারাও তো মানুষ। তাদের তো আমরা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারি না।’
উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশসহ আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকরাও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাইরের কোনও সহায়তা ছাড়াই আমরা তাদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে পাঁচ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছি।’
বাংলাদেশ সরকার যেভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদার মনোভাব নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে,তা দেখে আন্তর্জাতিক মহল বিস্মিত হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়েও সবাইকে শিক্ষাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের মায়েদের প্রণোদনা এবং উচ্চ শিক্ষাতেও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের সুবিধা রেখে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।