রিও ডি জেনিরোর বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গের পর ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির কান্নাভেজা মুখের ছবি এখনও ফুটবল প্রেমিদের কাছে তরতাজা। জার্মানির অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে আর্জেন্টিনা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয় স্বপ্নের বিশ্বকাপ।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় বসছে ফুটবলের মহাযজ্ঞের আসর। কিন্তু ফুটবলের এ মিলনমেলায় অনিশ্চিত আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ভালো করতে না পারায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রায় চার যুগ পর সেই শঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির শিবিরে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পঞ্চম স্থানে থেকে উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য এবং ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ এ ড্র করে একই অবস্থানে আর্জেন্টিনা। অথচ ম্যাচগুলোতে জিততে পারলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সরাসরি খেলার সুযোগ হতো। অবশ্য সুযোগ এখনও আছে। এজন্য মেসিদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
পেরু ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে রয়েছে আরো দুটি ম্যাচ । রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেতে হলে অবশ্যই এ দুটি ম্যাচ জিততে হবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। আর যদি পঞ্চম স্থানেই থাকে তবে আর্জেন্টিনাকে খেলতে হবে প্লে অফ। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দুই লেগের ম্যাচগুলো হবে ৬ ও ১৪ নভেম্বর।
বাছাই পর্বে ১৬ ম্যাচ থেকে মাত্র ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সমানসংখ্যক ম্যাচ থেকে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এরই মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে।
অপরদিকে আগামী ৫ অক্টোবর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ পেরু। পাঁচদিন পর (১০ অক্টোবর) শেষ ম্যাচে তাদের লড়তে হবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। দেখা যাক ইনফর্ম মেসির মায়াবী জাদুতে আর্জেন্টিনার ভাগ্য পাল্টায় কিনা!