ভেষজের দুনিয়াতে থানকুনির স্থান রয়েছে অনেক উপরে। কারণ এর রয়েছে নানান গুণ। থানকুনি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই জন্মে। পাতা গোলাকার ও খাঁজকাটা। থানকুনির নানা ভেষজ গুণ রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেসব গুনাগুন সম্পর্কে-
১। স্ট্রেস দূর করেঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির জন্ম দেওয়া কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ কমে যায়। ফলে ডিপ্রেশনের মতো মানসিক রোগের কবলে পরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
২। ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই উপাদানটি শরীর থেকে নানা রকম ক্ষতিকর উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকায়, তেমনি সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৩। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে সাহায্য করে।
৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখেঃ থানকুনি পাতা উচ্চ রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৫। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ মনোযোগ বাড়াতেও থানকুনি পাতা বিশেষ ভূমিকা নেয়। কারণ ব্রেনের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা বাড়াছে না কমছে, তার উপর মনোযোগের বাড়া-কমা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। থানকুনি পাতা খেলে ব্রেনের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি অনেক টা বেড়ে যায়।