ইয়াজিদি নারীদের ওপর আইএসআইএস জঙ্গিদের অত্যাচারের কথা নতুন নয়। আট হোক বা আশি, সব বয়সের মেয়েদের ওপরেই চোখ এই জঙ্গিগোষ্ঠীর
সুযোগ পেলেই ধরপাকড়, অত্যাচার, গণহত্যা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে নিত্য নতুন অত্যাচার, যা শুনলে শিউরে উঠবেন যে কেউ। নারীদের ওপর হওয়া এমনই কিছু অত্যাচারের কথা জানিয়েছে- খোদ অত্যাচারিত যৌনদাসীরা, যারা কোনোক্রমে পালিয়ে আসে এই জঙ্গিদের ডেরা থেকে।
সুযোগের অপেক্ষা। আর সময়মতো কার্যসিদ্ধি। এমনই মন্ত্রে বছরের পর বছর নিজেদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করে চলেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। তাদের রাগ, তাদের আক্রোশ থেকে বাঁচতে পারে না একরত্তি মেয়েরাও। ১-৯ বছর বয়সের বাচ্চারা তাদের কাছে মণি-মানিক্যের থেকেও দামি। পরিণত বয়সে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার আগেই, ছোটবেলাতেই বিক্রি করে দেওয়া হয় এদের। আর এক্ষেত্রে ছোটদের মূল্য সব থেকে বেশি ধার্য করেছে এই জঙ্গিরা
ইয়াজিদি নারী এবং শিশুদের অপহরণ করার পর তাদের অবর্ণনীয় কুমারিত্ব পরীক্ষায়র জন্য পাঠানো হয় নির্দিষ্ট জায়গায়। তারপর পরীক্ষার ফলাফলই তাদের মূল্য ধার্য করে দেয়, আর সেই অনুযায়ীই তাদের পাঠানো হয় বিভিন্ন জায়গায় যৌনদাসী হিসেবে।
এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে যেসব নারী নিজেদের সৌন্দর্য নানাভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে, তাদের ভাগ্যে আরও নির্যাতন জোটে। তাদের প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য অথবা স্বামী-পুত্রকে চোখের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে এই জঙ্গিরা।
শোনা যায়, বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে এমনই এক নারী আগুণের ওপর ঝাঁপ দেয়, নিজের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য। যৌন কার্যে সম্মতি না দিলে, অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাদের। এমনকি লোহার খাঁচার মধ্যে তাদের ঢুকিয়ে অগ্নিসংযোগের খবরও শোনা গেছে।
শুধু তাই নয়, আত্মহত্যা করতে গিয়েও দুর্ভাগ্যক্রমে যারা বেঁচে যায়, তাদের পরিণাম শুনলে আরও ভয়ে শিউরে উঠবেন। ২৪ ঘণ্টায় ২৪ বারের বেশিও ধর্ষিতা হয়েছে বহু মেয়ে। তাদের জীবনের কোনো দামই নেই এইসব জঙ্গিদের কাছে। যতক্ষণ মেয়েদের শরীরে প্রাণ আছে, ততক্ষণই তাদের ভোগ করে চলে তারা।