আসাদুজ্জামান : “তরুন লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার নামে তিনি টাকা আদায় করেছেন। জেলা, মহানগর, নগর, উপজেলা, ইউনিয়ন Ñএমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি বারবার ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নামে বহুজনের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছেন তিনি।
এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কিত হয়ে পড়া কেন্দ্রীয় তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার শ্যামনগরের জিএম শফিউল্লাহকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্র। ২০১৭ সালের ৩০ জুন কেন্দ্রীয় সভাপতি এমএইচ বাবুল স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বহিস্কৃত জিএম শফিউল্লাহর স্থলে কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হককে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। অথচ বহিস্কৃত সেই ব্যক্তিই এখন সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়ে দলের সাথে প্রতারণা করেছেন।” রোববার দুপুরে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা তরুন লীগের সভাপতি(গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিলুপ্ত দাবিকৃত কমিটির) শেখ তৌহিদুজ্জামান চপল। তিনি বলেন জিএম শফিউল্লাহ একজন প্রতারক। তার দাবি, স্থানীয় কিছু পত্রিকায় সাতক্ষীরা জেলা কমিটি বিলুপ্তির বিভ্রান্তিকর খবরে তিনি বিষ্মিত। তিনি বলেন, এতে বিভ্রান্ত হবেন না। তিনি দাবি করেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী তরুন লীগ কমিটি বহাল আছে, বহাল থাকবে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, একজন বহিস্কৃত ব্যক্তি কিভাবে একটি জেলা কমিটি ভাঙতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জিএম শফিউল্লাহ বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা জেলা কমিটির কাছে টাকা চাইতেন। ব্যানার ফেস্টুন তৈরির নামে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির কাছে আরও ৭০ হাজার টাকা চান তিনি। তা না দেওয়ায় তার সাথে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। তার চাহিদা না মেটানোয় তিনি সাতক্ষীরা কমিটি নিজের এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ভেঙে দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে চপল আরও বলেন বহিস্কৃত জিএম শফিউল্লাহ টাকা না দিলে যখন তখন কমিটি ভাঙা গড়া ছাড়াও টাকা না দিলে কোনো কমিটি না দেওয়া, সচিবালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আদায় এবং চাকরি না হলে টাকা ফেরত চাইতে গেলে পুলিশে দেওয়ার হুমকিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এসব কারণে কেন্দ্র তাকে আজীবন বহিস্কার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
চপল আরও দাবি করেন, সভাপতি শেখ তৌহিদুজ্জামান চপল ও সেক্রেটারি জাহেরুল আলম টুটুল নেতৃত্বাধীন ৫১ সদস্যের সাতক্ষীরা জেলা তরুন লীগ কমিটি বহাল রয়েছে। এই কমিটি ভেঙে দেওয়ার খবর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহেরুল আলম, সামসুদ্দিন গজনভী বাবলু, আহম্মাদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য, টুটুল, সবুজ, চঞ্চল, সোহাগ, আশীষ শাহিন, সিরাজ প্রমুখ নেতা।