তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে বেশ চাপে ছিল রংপুর রাইডার্স। দলে তারকা ক্রিকেটার না থাকায় টানা দুটি ম্যাচ হেরে যায় দলটি। ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-কুশল পেরেরাদের মতো তারকারা যোগ দেওয়ায় জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল রাইডার্স সমর্থকরা। তবে হতাশ হতে হয়েছে তাদের। ক্রিস গেইল-ম্যাককালামদের মতো তারকারা এলেও ফলাফলটা বদলাতে পারেনি মাশরাফির দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৪ রানে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকল দেশের সর্ব-উত্তরের দলটি।
কুমিল্লার দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৯ রানেই শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল রংপুরের। ক্রিস গেইল ও ম্যাককালাম মিলে চার ওভারে তুলে নেন ৩০ রান। পঞ্চম ওভারেই বদলে যায় খেলার চিত্র। রশীদ খানের বলে লেগ বিফার হয়ে ফিরে আসেন গেইল। একই ওভারের চতুর্থ বলে কুশল পেরেরাকেও ফেরান আফগান স্পিনার। গেইল করেন ১৭ রান।
ষষ্ঠ ওভারে রংপুর শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দেন মেহেদী হাসান। এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিং হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সেই ওভারে শাহরিয়ার নাফীসকে ফিরিয়ে খেলার শুরুতেই কুমিল্লার জয়টা মোটামুটি নিশ্চিত করে দেন এই তরুণ স্পিনার। ১৩ রান করেন ম্যাককালাম।
তবে রবি বোপারা ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে লড়াইটা চালিয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। এই দুজন যোগ করেন ৫৭ রান। দলীয় ৯৯ রানে মিঠুন ফিরলে রংপুরের হারটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ২৬ বলে ৩১ রান করেন মিঠুন। মাশরাফি বিন মুর্তজা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। ১১ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন রংপুর দলনেতা। রবি বোপারা উইকেটে টিকে থাকলেও জয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ৪৮ বলে ৪৮ রান করেন বোপারা।
এর আগে জয়ের জন্য রংপুরের সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্য রাখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় ২৩ রানে রুবেল হোসেনের পেসের সামনে ধরাশায়ী হন তামিম ইকবাল। ১৯ বলে ২১ রান করেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। লিটন দাসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মাশরাফি। ১১ বলে ১১ রান করেন লিটন। এরপর জস বাটলারকেও ফেরান রাইডার্স দলনেতা। মাত্র ১ রান করেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান।
এরপর ইমরুল কায়েস ও মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। এই জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। দলীয় ১০০ রানে পেরেরার বলে বোল্ড হন ইমরুল কায়েস। ৪৭ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে হাজার রান পূর্ণ করেছেন তিনি। শোয়েব মালিক ভালোভাবে শুরু করলেও রান আউট হয়ে ফিরে আসেন।
১৮তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩৯ রানে আউট হন স্যামুয়েলস। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। শেষ কয়েক বলে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১১ বলে ১৬ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।