নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে অবশেষে একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে বহুল প্রতীক্ষিত এ চুক্তি সই হলেও এতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে মিয়ানমার সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে অং সান সু চির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে ৪৫ মিনিটের এ বৈঠকের পরপরই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে এ চুক্তি সই হয়। নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও সু চির কার্যালয়ের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুয়ে।
চলতি বছরের আগস্টের শেষে রাখাইনের বিভিন্ন পুলিশ চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জের ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, শিশু হত্যা, রোহিঙ্গা বসতিতে অগ্নিসংযোগসহ গণহত্যার অভিযোগ ওঠে।
হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে নানাভাবে কালক্ষেপণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হয় মিয়ানমার।