অনলাইন ডেস্ক : পদ পরিদর্শকের, কিন্তু তিনি লেখেন ‘ওসি সোহরাব’! ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে পুলিশে তাঁর চাকরি শুরু—কিন্তু সত্যাটি আর উদ্ঘাটিত হয়নি। কোনো ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে নেই অথচ তাঁর অন্তত চৌদ্দটি বাড়ি, বেশ কয়েকটি মার্কেট।
আর এসব স্থাপনায় তিনি অনায়াসে পদবি লিখছেন ‘ওসি’। সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়ের জামাতাকে ওসি ও ছেলেকে এসআই দেখিয়ে বিভিন্ন বাড়ি বা মার্কেটের সামনে সোহরাব রীতিমতো ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি, মার্কেট, প্লটসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
মো. সোহরাব মিয়া টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। তবে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গিয়ে সরেজমিনে অনেক ‘ওসি মার্কেট’ বা ‘ওসি ভিলা’ শুধু নয়, পাওয়া গেছে ‘ওসি রোড’ও। সোহরাব নিজের নামে করেছেন সড়কটি। এ ছাড়া রয়েছে জয়দেবপুর চৌরাস্তার পাশে দুটি বাড়ি, রাজধানীর উত্তরায় ছয় কাঠার একটি প্লট। তবে সোহরাব বলেন, তিনি কোনো ‘দুই নম্বরি’ করেননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর গ্রামের প্রয়াত হাজি আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে মো. সোহরাব মিয়া।
গ্রামে ভিটেমাটি আর কিছু ফসলি জমি ছাড়া খুব বেশি সম্পদ ছিল না পরিবারের। সোহরাবের ছোট ভাই মো. ফজলুর রহমান বলেন, তাঁর ভাই আশির দশকে নিজ জেলার ঠিকানা গোপন করে ঢাকার ধামরাই উপজেলার মঙ্গলবাড়ী গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে কোটা সুবিধায় কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়েছেন। ফজলুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গল গ্রামের ঠিকানায় ছয়জন চাকরি নিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারজনই চাকরি ছেড়ে বিদেশে আছেন। আর আমার ভাই সোহরাব এবং গ্রামের আরেকজন এখনো পুলিশে আছে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেই। ’
সোহরাবের নিজেকে ওসি দাবির ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ‘থানায় একজনই ওসি—সেটা আমি। আর সোহরাব হোসেন হচ্ছেন পরিদর্শক (তদন্ত)। এখন ওসি না হয়ে যদি ওসির পরিচয় দিয়ে থাকে, আমি কী বলব?’ সোহরাবের স্থায়ী ঠিকানা সরকারি নথিতে কী জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সেটা আমার জানা নেই, পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। ’ চাকরির মেয়াদ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, সোহরাব আর এক বছর পর্যন্ত পুলিশ বিভাগে আছেন। এরপর তিনি অবসরে চলে যাবেন।
সোহরাব হোসেনের ছেলে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত বলে জানা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মের আগেই বাবা চাকরি নিয়েছিলেন। ঢাকার ধামরাইয়ে হয়তো কোনো কারণে ভাড়া ছিলেন; এ কারণেই সেখানের ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন। ’ সোহরাব হোসেনের মেয়ের জামাই আলমগীর আশরাফ টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার মোগড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত)। তবে তিনি বলেন, তাঁর নাম কেন শ্বশুরের সম্পত্তির ব্যানারে এর উত্তর তাঁর জানা নেই। ইন্সপেক্টর আশরাফ বলেন, ‘ওখানে আমার এক ছটাক জমিও নেই। ’ জানা যায়, গাজীপুরের কোনাবাড়ী হাউজিং সোসাইটিতে মো. আইয়ুব আলীর ফ্ল্যাটে থাকে সোহরাব হোসেনের পরিবার এবং প্রতি সপ্তাহেই সোহরাব কোনাবাড়ী আসেন সম্পদ দেখভাল করতে।
‘ওসি’ সাম্রাজ্য : গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই কোনাবাড়ী বাজার। সেই বাজারেই সাড়ে ১০ শতাংশ জমির ওপর স্বঘোষিত ‘ওসি মার্কেট’। স্থানীয় মতিউর রহমানের কাছ থেকে জমিটি কিনে সেখানে মার্কেট বানিয়ে ২০টির বেশি দোকান করেছেন সোহরাব। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘ওসি সাহেব মার্কেটের মালিক, প্রতি মাসেই তিনি ভাড়া নিয়ে যান। ’ এলাকাবাসীর হিসাবে মার্কেটের এক শতাংশ জমির মূল্য রয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। জমির বর্তমান মূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। কোনাবাড়ীর আমবাগ পশ্চিমপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়ির সামনে বিশাল ব্যানার ‘ওসি বাড়ি। দোকান ও বাড়িভাড়া দেওয়া হবে। ’ পাশেই আরেক ব্যানারে তাঁর মেয়ের জামাতা ওসি (তদন্ত) আলমগীর আশরাফ, ছেলে এসআই মামুন পদবি এবং মোবাইল নম্বরসহ বিশাল ব্যানার।
স্থানীয় বাসিন্দা আলিনুর মিয়া বলেন, ‘এইড্যা ওসি সাহেবের বাড়ি, রবি মুচির বাড়ি তিনি কিনে নিয়েছেন। এই পরিবার অনেক ক্ষমতাশালী। ’ বাড়ির পাশের দোকানদার মো. হোসেন আলী বলেন, ‘এখানে ভাড়াটিয়ারা থাকে, ওসি সাহেব মাঝে মাঝে আসেন। ’ আমবাগ ঢালাই ফ্যাক্টরির পাশেই আরেকটি ‘ওসি মার্কেট’ এবং বিশাল টিনশেড বাড়ি। আমবাগ উত্তরপাড়া এলাকায় মুদি দোকানি হারুন মিয়ার দোকান থেকে একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ে ঢালাই করা সিমেন্টের খুঁটিতে লেখা ‘ওসি রোড’। সড়ক দিয়ে ভেতরে যেতেই মেহগনি গাছের বাগান। তার পাশে বড় টিনশেড বাড়ি। এখানেও সামনে লেখা ‘ওসি ভিলা’। বারান্দায় বসে থাকা নার্গিস বেগম নিজেকে ভাড়াটিয়া পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মালিক ওসি সাহেব এখানে থাকেন না। ’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলে, এখানে ২৯ শতাংশ জমির মূল্য কোটি টাকার বেশি হবে। মুদি দোকানি হারুন মিয়া বলেন, ‘ওসি সাহেব জমি কিনেছেন আমাদের কাছ থেকে, অর্ধেক জমিতে বাড়ি করেছেন আর অর্ধেক এখন গাছের বাগান আছে। ’ স্থানীয় বাসিন্দারা আরো একটি অভিযোগ করে, এলাকার বেশির ভাগ গ্যাসের লাইন অবৈধভাবে নেওয়া এবং ‘ওসি’র বাড়ির লাইনটিও বৈধ না। সেখান থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে আমবাগ মধ্যপাড়ার নবাবদীঘি নাদের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে পাওয়া যায় আরেকটি ‘ওসি মার্কেট’ এবং পাশে আরেকটি টিনশেড বাড়িও আছে। সামনে টাইলসের ওপর লেখা ‘ওসি বাড়ি রোড’। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছে, সড়কটি নজরদীঘি সড়ক হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু সোহরাব ‘ওসি রোড’ নামকরণ করেছেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে। এখানকার বাড়ি এবং মার্কেটের জমির মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে এলাকাবাসীর হিসাব। এ ছাড়া কোনাবাড়ীর নামাপাড়ায় দেওয়ান মার্কেটের পেছনে প্রায় দেড় কোটি টাকার ৭ শতাংশ জমি থাকার কথা জানা যায়। আমবাগ এলাকার সামাদ সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশে মৃত খালেক মিয়ার কাছ থেকে প্রায় ২০ শতাংশ জমি কিনে টিনশেড রুম করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওসির এই বাড়িটিতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালানো হচ্ছে। আর বাাড়ির বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।
বিভিন্ন সূত্রমতে, গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তার কাছে চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে রয়েছে তাঁর ‘দারোগা বাড়ি’। ৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়িটির দাম হবে প্রায় দুই কোটি টাকা। ময়মনসিংহ মহাসড়কের বর্ষা সিনেমা হলের পাশেও ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে রয়েছে পাঁচ কাঠার একটি দুই কোটি টাকা মূল্যের প্লট। আর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জয়কালীবাড়ি রোড কৃষি ব্যাংকের পাশে রয়েছে তাঁর বিশাল একটি মার্কেট—যার মূল্য হবে দুই কোটি টাকা প্রায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে সোহরাব অনেক জায়গায় ওসি হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, গাজীপুরে একাধিক বাড়ি এবং জমির মালিক বনে গেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর চাকরি মেয়াদ শেষ পর্যায়ে বলে কেউ সে বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। ’ নিজের এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দিয়েছেন মসজিদ ও মাদরাসা। নাম : সোহরাবিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা; যদিও তাঁর ভাইয়ের দাবি—সোহরাব এখানেও প্রতারণা করেছেন।
সোহরাব যা যা বললেন : পুলিশ প্রবিধানের ১১২ ধারার (গ) এর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (আইজিপি) কিংবা পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া তাঁর নিজ জেলা ছাড়া কোথাও নিজের বা স্বজনের নামে জমি কিনে বাড়ি করতে পারবে না। অনুমতি নিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন কি না জানতে চাইলে সোহরাব মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলতে চাই। সামনা-সামনি বসে চা খাব এবং কথা বলব। ’ নিজ জেলা টাঙ্গাইলের ঠিকানা গোপন করে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি বলেন, ‘ভাইরে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেখা হলে সবকিছু পরিষ্কার হবে। ’ ওসি পদবি ব্যবহার করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ওসি তদন্ত হিসেবেই লেখি, গোপালপুর থানায় ওসি তদন্ত হিসেবে আছি। অফিশিয়ালি লিখতে পারেন কি না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি লিখে থাকি, এটা লিখলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? নিজেকে টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি এই জেলায় কিছু কর্মকর্তা বাদে সকলের সিনিয়র ইন্সপেক্টরও। র্যাংকেও আমি সিনিয়র। সিনিয়র হিসেবেও দায়িত্ব দিলে ওসি পদ পেতাম। কিন্তু ভিসা টিকিট নইলে কেউ পদোন্নতি পায় না। ’ ভিসা টিকিট কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখেন, এটার অর্থ কী। মেয়ের জামাতা এবং ছেলের নাম পদবি প্রতিটি বাড়ির সামনে ব্যানারে লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের নাম লিখেছি তাতে দোষের কী?
এত এত বাড়ি ও মার্কেট করার টাকার উৎস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো দুই নাম্বারি করি নাই। কেউ প্রমাণ দেখাতে পারলে এই মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দেব। এক জায়গা থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে আরেক জায়গায় জমি কিনেছি, আবার আরেক জায়গা থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে অন্য জায়গায় জমি কিনেছি। ’ কোথা থেকে অ্যাডভান্স নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাই ফোনে কিছু বলতে চাই না। আপনার সঙ্গে একটু দেখা করতে চাই। সব ডকুমেন্ট দেখাব। ’ এত জমির মালিক হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক হাজার আর দুই হাজার টাকায় প্রতি শতাংশ জমি কিনে কি গুনাহগার কেউ হয়? সেই কম দামের জমি এখন অনেক বেশি দাম হয়েছে। এটা তো তেমন কিছুই নয়। দেখেন, পুলিশ সাংবাদিক ম্যাজিস্ট্রেট ডাক্তার—আমরা তো একই প্লাটফর্মের লোক, সাক্ষাতের পর যদি আমি বুঝাইতে সক্ষম না হই তখন বইলেন। আপনি সদয় হইলে সব কিছুই হবে। ’ পদোন্নতি পেয়েছেন কবে? একাধিকবার জানতে চাইলেও তিনি বলতে চাননি।
টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল- গোপালপুর) মো. আহাদউজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সোহরাব হোসেন গোপালপুর থানার ওসি নন, তিনি পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওসি না হয়েও ওসি হিসেবে পরিচয় দেওয়া উনার ঠিক হচ্ছে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এদিকে ছোট ভাই মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গেও জালিয়াতি করেছেন সোহরাব হোসেন। ছোট ভাইয়ের কেনা ৯ শতাংশ জমি জোর করে দখলে নিয়ে সেখানে সোহরাব হোসেনের নিজ নামেই বানিয়েছেন মসজিদ ও মাদরাসা। ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কেনা জমিতে ভাই মসজিদ ও মাদরাসা বানাল। কিন্তু আমাকে কোনো টাকা পয়সা দেয়নি। টাকা চাইলেই দেব-দিচ্ছি করে। ’
অভিযোগ প্রসঙ্গে সোহরাব হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাইয়ের জমি আমি দখলে নেইনি। আমার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। আর ভাই হয়তো রাগ করে বলেছে। সেটা আমি মিটিয়ে ফেলব। নিজের গ্রামের ঠিকানা গোপন করে মঙ্গল গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া প্রসঙ্গে সোহরাব বলেন, ‘ভাই, আমি আপনার সঙ্গে শুক্রবার দেখা করব, চা-ও খাব। ওই সময় সব কিছু দেখাব। ’
অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়া প্রসঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘তাঁর বাড়ির গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নেওয়ার সময় আমি বাধা দিয়েছিলাম। সিটি করপোরেশনের রাস্তা কেটে লাইন নেওয়ার সময় কাজ বন্ধ করে দিই। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি লাইনটি নিয়েছেন এবং এটা দৃশ্যমান। এলাকার সবাই বিষয়টি জানে। ’
ওসি সোহরাব হোসেনের সঙ্গেই কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করেছেন এমন একজন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসআই বলেন, ‘সোহরাব জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও রাজধানী ঢাকার আশপাশের থানাগুলোতে সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। এর আগে তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদ দিয়ে পুলিশের চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘সারা জীবনে পারলাম না একটি বাড়ির মালিক হতে, আর সে ১৪টি বাড়ি আর মার্কেটের মালিক হয়ে গেছে। ছেলেকেও পুলিশের এসআই পদে চাকরি দিয়েছে। তার টাকার উৎস কি তা দুদক অনুসন্ধান করলেই পেয়ে যাবে। ওসির ১৪টি বাড়ি এবং মার্কেট থাকলেও এখনো থাকে ভাড়া বাড়িতে।’
সূত্র : কালের কণ্ঠ