বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির বয়নশিল্প ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ২০১৭ তে (ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউমিনিটি) তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।
আজ বুধবার ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটি শীতলপাটির বয়নপদ্ধতির স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে।
সিলেটের ঐহিত্যবাহী শীতলপাটির আকার-আকৃতিতে ও নকশায় রয়েছে বৈচিত্র্য। পাখি, ফুল, লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা, মসজিদ, চাঁদ, তারা, পৌরাণিক কাহিনীচিত্র, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, শাপলা, পদ্ম; কী নেই? সুযোগ আছে প্রিয়জনের নাম লেখার।
বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন শীতলপাটি। মুর্তা বা বেতগাছের বেতি থেকে বিশেষ বুননকৌশলে শিল্পরূপ ধারণ করে এই লোকশিল্পটি।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে ইউনেস্কোর Intergovernmental Committee for the Safeguarding of the Intangible Cultural Heritage এর ১২তম অধিবেশনে বিশ্বের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (The Intangible Cultural Heritage of Humanity) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রস্তাবনা উত্থাপন করে।
সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরিশাল, ঝালকাঠি, কুমিল্লা, ঢাকা, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল ও নেত্রকোনায় এই গাছ পাওয়া গেলেও এই পাটির বেশির ভাগ শিল্পীই বৃহত্তম সিলেট বিভাগের বালাগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জের। সিলেট অঞ্চলের এই পাটির শতবর্ষী ঐতিহ্য রয়েছে। এখানকার এক শ গ্রামের প্রায় চার হাজার পরিবার এই কারুশিল্পের সঙ্গে জড়িত।