মোহালির জায়ান্ট স্ত্রিনে ঘুরে ফিরে তাকেই দেখাচ্ছে। চিন্তায় ততক্ষণে মুখ ঢেকে ফেলেছেন রিতিকা সাজদে। ১৯৭ রানে রোহিত শর্মা লং অফে শট খেলে দুই রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন। থ্রো ভালো হলে নিশ্চিতভাবেই আউট হয়ে যেতেন তিনি। ততক্ষণে রিতিকার চোখে জল চলে এসেছে। সে দফায় অবশ্য বেঁচে যান রোহিত। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ট্রিপল ‘ডাবল’ জয়ের আনন্দে অনামিকায় চুমু দিয়ে ব্যাটটা উচিয়ে দেখালেন স্ত্রী রিতিকার দিকে। তাঁর জন্য যার এত চিন্তা ডাবল সেঞ্চুরিটা তো তাকেই উৎসর্গ করবেন রোহিত শর্মা।
আগের ম্যাচটা লজ্জাজনকভাবে হেরে যাওয়ায় তেতে ছিল পুরো ভারতীয় দল। এই ম্যাচে যে কোনোমূল্যে জয় চাচ্ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ওয়ানডেটা হারায় সেই ম্যাচের রাগটা এই ম্যাচে ঝেড়ে দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ইনিংস শেষেও কমেনি রোহিতের রাগ। ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলির বদলে দলের নেতৃত্ব পাওয়া এই ওপেনার।
আজ দারুণ সাবধানী ছিল ভারতের শুরুটা। প্রথম পাঁচ ওভারের ২২ আর ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৩৩ রান। আর ৫০ ওভার শেষে সেই দলটির সংগ্রহ ৩৯২! মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে আজো টস হেরে বসে ভারত। কুয়াশায় কারণে বল ঠিকমতো দেখছিলেন না ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান।
দশ ওভারের পর হাত খোলেন ধাওয়ান। লঙ্কান বোলারদের পিটিয়ে ১৬তম ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি তুলের নেন বাহাতি এই ব্যাটসম্যান। রোহিতের রান তখন ২৩। হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টেকেননি ধাওয়ান। ৬৮ রান করে ফিরে আসেন তিনি। ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা রোহিত শর্মা এগোতে থাকেন শ্রেয়াশ আয়ারকে নিয়ে।
ধাওয়ানের মতো রোহিতকে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে ফেলেন আয়ার। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। রোহিত তখন ৯৮ রানে অপরাজিত। ১১৫ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১৬তম শতক। পরের শতকটি করলেন মাত্র ৩৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে তৃতীয়বার ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
ভারতের হয়ে আজ রোহিত ছাড়া আয়ার ৮৮ ও শিখর ধাওয়ান করেন ৬৮ রান।