ভারতের গুজরাট বিধানসভার দ্বিতীয় ও শেষ দফার নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার কিছু পরে আমেদাবাদের সবরমতী বিধানসভা কেন্দ্রের রানিপ এলাকায় অবস্থিত নিশান হাইস্কুলে ১১৫ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। এই সবরমতী বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান এমএলএ বিজেপির অরবিন্দ প্যাটেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেস প্রার্থী জিতুভাই প্যাটেলের সঙ্গে।
এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মোদির শোভাযাত্রা এসে থামে নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে। এরপর সেখান থেকে হেঁটে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যান এবং আর পাঁচজন সাধারণ ভোটারের সঙ্গেই লাইনে দাঁড়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর আঙুলে ভোটের কালি লাগিয়ে দেন ভোট কর্মীরা। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠাকিতা শেষ করে নিজের ভোটটি প্রদান করেন এবং কালি লাগানো আঙুলের ছবিটি গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।
এদিন নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মোদিকে ঘিরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে। মোদিকে দেখতে ভোট কেন্দ্রের বাইরে অনেক সাধারণ মানুষও জড়ো হন এবং তারা প্রত্যেকেই ‘মোদি-মোদি’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। মোদিকে সামনে পেয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায় উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে।
এদিন, ভোটদানের পরও কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকশত মিটার পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যান, এ সময় মোদিকে ঘিরে সাধারণ জনতার মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে, মোদিকে দেখতে হুড়াহুড়ি শুরু তাদের মধ্যে। সে সময় ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় মোদির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের।
শেষ দফায় সকাল ৮টা থেকে উত্তর ও মধ্য গুজরাটের ১৪টি জেলার ৯৩টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ ভোটার মোট ৮৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।
এদিন সকালে গান্ধীনগরে আর্যভট্ট হাইস্কুলে ভোট দেন নরেন্দ্র মোদির মা হিরাবেন (৯০)। মা’এর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদি ও পরিবারের লোকেরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভোট দিয়ে যান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, গুজরাটের সাবেক নারী মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি, রাজ্যটির উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নীতিন প্যাটেল, কংগ্রেস প্রার্থী শক্তিশিং গোহিল, পতিদার নেতা ও প্যাটেল আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল, সাবেক ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়া প্রমুখ।
গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয় গুজরাটে। গণনা আগামী ১৮ ডিসেম্বর। ওই একই দিনে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোটেরও ফলাফল ঘোষিত হবে।