নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৭ নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত ৪ কেন্দ্রের পুনঃ নির্বাচন ফের স্থগিত করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর সোমবার এই নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা ছিল। প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রউফ কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ এর দৈত বেঞ্চে নির্বাচন বন্ধের জন্য করা এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে জেলা রির্টানিং অফিসার এই নির্বাচন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। জানা যায়, বিগত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা, জাল ভোট প্রদান, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সদর উপজেলার ৭ নং আলীপুর ইউনিয়নের ৪,৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে ওই সকল কেন্দ্রের ভোট সম্পূর্নরুপে বাতিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। পরে পুনঃ তফশিলের মাধ্যমে স্থগিত ওই ইউপিতে ৩১ অক্টোবর পুনঃনির্বাচনের দিন ধার্য্য করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য পুনঃনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সদর উপজেলার আলীপুর (ঢালীপাড়া) গ্রামের আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে মহিউর রহমান আবারও অবৈধভাবে প্রভাব খাটাতে পারে এই অভিযোগ এনে নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি চেয়ারম্যান প্রাথী আলীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে আব্দুর রউফ সরদার গত ১০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ এর দৈত বেঞ্চে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ ৩০ অক্টোবর আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ পুনঃনিবাচন ২০১৬ এর রির্টানিং অফিসারে প্রতি এক রুল ইস্যু করে এবং নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার নকিবুল হাসান বলেন ‘আইনজীবির পক্ষ থেকে একটি রিটের কপি আমরা পেয়েছি। সেটি পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়’। পরে কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে তিনি রাত ৯ টায় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান আলিপুর ইউনিয়নের চার কেন্দ্রের পুনঃনির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার ৭ নং আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত ৪ কেন্দ্রের পুনঃ নির্বাচন ফের স্থগিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহনের জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত মালামাল নিয়ে যে সমস্ত কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল ইতিমধ্যে তাদেরকে মালামালসহ ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট