বছর ঘুরে আবার শুরু হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় বই মেলা ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা’। বরাবরের মতো এ বছরও এই মেলায় থাকছে বাংলাদেশের নিজস্ব প্যাভিলিয়ন। এতে থাকছে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি স্টল। শুধু তাই নয়, কলকাতা বই মেলার ৪২তম এই আসরের পঞ্চম দিনটি উদযাপিত হবে ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে। ওই দিন বিকালে মেলা প্রঙ্গণে ‘বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে কলকাতা বই মেলার। এরই মধ্যে মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। মেলা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, এ বছর মেলায় বাংলাদেশের স্টলটি তৈরি করা হচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘আহসান মঞ্জিলে’র আদলে। এই প্যাভিলিয়নে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪২টি স্টল থাকবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর।
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বইপ্রেমীদের আগ্রহ বরাবরই তুঙ্গে থাকে। তেমনি বাংলাদেশের ছোট-বড় প্রকাশকরাও স্টলের জন্য আবেদন করে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।এ প্রসঙ্গে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘এ বছরও কলকাতা বইমেলায় অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচুর প্রকাশক আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্যাভিলিয়নে স্থানাভাবের জন্য অনেক যাচাই-বাছাই করে ৩৪টি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
৪২তম কলকাতা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপন। মেলা কর্তৃপক্ষ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ওই দিন বিকালে মেলা প্রাঙ্গণের স্টেট ব্যাংক অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ দিবসে’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন প্রমুখ। এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ভারতের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার প্রমুখও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে, অদিতি মহসিন, প্রিয়াংকা গোপ, শফি মণ্ডল এই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
কলকাতা বই মেলার আকর্ষণ ‘বাংলাদেশ দিবস’
পূর্ববর্তী পোস্ট