নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়রাডাঙ্গায় মাদক সম্রাট আজগার আলী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার নামে কেউ মূখ খুলতে পারেনা। কেউ কিছু করতে গেলে সে গোয়েন্দা পুলিশের ভয় দেখিয়ে অথবা তার বাড়িতে মাদক রেখে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। আজগার আলী সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আশরাফ আলীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার নামে নারী পাচারসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, আজগার আলী দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা ব্যবসা করে আসছে। সে একজন বিএনপি নেতা হয়েও এসব মাদক নিয়ে জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। তারপরও সে বীরদর্পে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিটের অভিযোগও আছে। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। মুখ খুলতে গেলেই সে পুলিশের ভয় দেখিয়ে এবং মাদক রেখে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ।
শিবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, আজগার আলী একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় কয়েকটি মাদক মামলা আছে। এক সময় আজগার আলীর কিছুই ছিল না। কিন্তু সে মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। বর্তমানে সে পায়রাডাঙ্গায় একটি দ্বি-তল ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। সে এতই চতুর যে, পায়রাডাঙ্গায় তার বাড়ি হলেও সে থাকে শিয়ালডাঙ্গা শ্বশুড় বাড়িতে। তবে সে রাতে রাতে এলাকায় ফিরে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। যদি এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রতিবাদ করে, তাহলে সে তার বাড়িতে মাদক রেখে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। তার এই মাদক সিন্ডিকেট চালায় একই এলাকার জাকাত আলীর ছেলে জুয়েল হোসেন, শহিদুলের ছেলে সাগর ও আকবরের ছেলে সবুর। আজগার আলীর মোবাইলের মাধ্যমে মাদক বেচাকেনার সকল রেকর্ডও সংরক্ষিত আছে। আজগারের বিরুদ্ধে সদর থানার মাদক মামলা নং ৪৪, তাং- ১৯.০৯.১৫, মামলা নং ২৯, তাং- ১৩.১১.১৭, মামলা নং ০৭, তাং- ০৫.১২.১৭। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে ০৭, তাং- ০৫.১২.১৭ মামলা রয়েছে। এব্যাপারে আজগার আলীর মুঠে ফোনে (০১৭৯০-৫৩৫০১৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, আমি কোন মাদক কেনাবেচা করি না। তবে আমি পুলিশের একজন সোর্স। এলাকায় মাদক ধরিয়ে দেয়ায় প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এধরনের কথা বলছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে বললে তিনি আরো জানায়, প্রতিপক্ষরা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট