বয়স যতই বেড়ে যাক, হাঁটু যতই বিদ্রোহ করুক, তিনি তো এক্সপ্রেস- নড়াইল এক্সপ্রেস। তাকে থামানোর সাধ্য কার! মাশরাফি বিন মর্তুজা তাই এখনও ক্রিকেট মাঠে সরব। বল হাতে দুর্নিবার। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরাতে এখনও ওস্তাদ। যেদিন পুরো ছন্দে থাকেন, সেদিন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে ধুমড়ে-মুচড়ে দিতে মোটেও কার্পণ্য করেন না।
তেমনই এক পারফরম্যান্স আজ দেখিয়ে দিলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। এবারের প্রিমিয়ার লিগে তিনি খেলছেন আবাহনীর জার্সিতে। তবে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড তার হাতে বাধা নেই। খেলছেন নাসির হোসেনের নেতৃত্বে। সে কারণ সম্ভবত চাপও কম। সে কারণেই নিজেকে আরও একবার পূর্ণভাবে মেলে ধরলেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ৫ম রাউন্ডের ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) শেখ জামালের মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী লিমিটেডের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে আবাহনী তুলেছে ২৭০ রান। জবাব দিতে নেমে মাশরাফির তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল। জামাল শিবিরে রীতিমত আতঙ্ক ধরিয়ে দেন মাশরাফি।
২৯ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। যার চারটিই আবার বোল্ড। শেখ জামালের চার ব্যাটসম্যানের স্ট্যাম্প উল্টে দিয়েছেন মাশরাফি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ৪৫.৩ ওভারেই ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল।
শেখ জামালের দুই ওপেনার ওপেনার জিয়াউর রহমান (১), সৈকত আলি (৩১), লেট অর্ডার আল ইমরান (২৪), নাজমুল হোসেনকে (৩) বোল্ড করেন মাশরাফি। তার হাতেই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আবু জায়েদ রাহি। যদিও এটা বোল্ড ছিল না, ক্যাচ ধরেছেন সাকলায়েন সজিব।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এ নিয়ে ৫ উইকেট নিলেন ৪র্থবার। তবে সেরা বোলিং কিন্তু এটি নয়। ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেয়ার রেকর্ডও রয়েছে মাশরাফির। ৪ উইকেট নিয়েছেন ১১বার। যার একটি আবার এ আসরেই। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে যে দুর্দান্ত বোলিং করে যাচ্ছেন ম্যাশ সেটা এরই প্রমাণ। খেলাঘরের বিপক্ষে ২৩ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কলাবাগানের বিপক্ষে নিয়েছেন ৪৯ রানে ৪ উইকেট।
শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার অবশ্য মাশরাফির সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন এনামুল হক বিজয়ও। কারণ, বিজয় ব্যাট হাতে খেলেন ১১৬ রানের ইনিংস।