কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা নেয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাদীপুর আলিম মাদ্রাসার পাশে নাসির মেম্বরের বাড়ির সামনে। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ৪/৫ বছর আগে আব্দুস সবুর মাদ্রাসার বিএসসি (প্যাথ) শিক্ষক হিসেবে যার ইনডেক্স নং- ২১০৪১৩৫ হাদীপুর আলিম মাদ্রাসায় যোগদান করে। সবুর ইতিপূর্বে কোমরপুর মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন চাকরী করলেও তার সার্টিফিকেট সমস্যার কারনে তিনি এমপিওভুক্ত হননি বলে জানা যায়। পরে তিনি হাদীপুর মাদ্রাসায় যোগদান করে বিভিন্ন শিক্ষকদেরকে বিএড ও শিক্ষক নিবন্ধনের সার্টিফিকেট দেয়ার নাম করে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। শিক্ষকবৃন্দ জানান, সবুর পারুলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এনামুল কবিরের নিকট থেকে বিএড সার্টিফিকেট দেয়ার নাম করে ৭০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু সে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে শিক্ষক এনামুল ও তার আত্মীয়স্বজনরা সবুরকে চাপ দিলে সে ৭০ হাজার টাকার একটি চেক শিক্ষক এনামুলকে প্রদান করে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানা যায় ঐ চেকটিও ভূয়া। যার কারনে রবিবার দুপুর ২ টার দিকে শিক্ষক এনামুল ও তার আত্মীয়স্বজনরা হাদীপুর মাদ্রাসার পাশে নাসির মেম্বরের বাড়ির সামনে আব্দুস সবুরকে ধরে মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে সংযত করে এবং একপর্যায়ে আব্দুস সবুরের ভাইরা ভাই নলতা হাইস্কুলের শিক্ষক মহিদুল ইসলাম টাকার জামিন নিতে চাইলে তাকে নলতা নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। শিক্ষকবৃন্দ আরো জানান, আব্দুস সুবর ইতিপূর্বে এধরনের কাজ করার কারনে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল গনি সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার সালিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে এধরনের একজন ভন্ড ও প্রতারক কিভাবে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন এ প্রশ্ন সাধারন মানুুষের। এ বিষয়ে আব্দুস সবুরের মোবাইল ০১৮৫০-৮৯৭৩৮৪ নম্বরে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট