হাতবোমা বিস্ফোরণ, হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িসহ কয়েক দফা সংঘর্ষের পর পণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন- রবিউল ইসলাম, সবুজ আহমেদ, নিপু হাওলাদার, সাইদুর রহমান ও রিফাত।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সম্মেলনে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বহিরাগতরাই বিশৃঙ্খলা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগকর্মী নুরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাকিব হোসেন সুইন। মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলন চলাকালে মিলনায়তনের ভেতরে বাম পাশে বিকট শব্দে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আতংকে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে হলের ভেতরে ছাত্রলীগের একাধিক পক্ষ নিজেদের নেতাদের নামে স্লোগান দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে বেশিরভাগ কর্মী হল ত্যাগ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও সংঘর্ষ চলতে থাকে। কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুপুর ১টার দিকে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীদের কয়েকটি গ্রুপ অনুষ্ঠানস্থলের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে র্যাব ও পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।