মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদে (বুড়িয়া) বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কর্তৃক জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে জেলা পরিষদের পুকুরের পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০টি গাছ কর্তন করা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ফকরাবাদ (বুড়িয়া) গ্রামের সর্বসাধারণের ব্যবহারের জেলা পরিষদের পুকুরের খনন ও সংস্কার কাজ চলছে। বৃহৎ এই পুকুরের চারিদিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছে আচ্ছন্ন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে পুকুরের পাড়ের প্রায় অর্ধেকের বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছের গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেঁকে দেওয়া হয়েছে। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও প্রেসক্লাবের প্রায় ১০ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে জানান, এলাকার কাঁঠ ব্যবসায়ী নওশের গাজীর পুত্র মান্নান গাজী এসকল গাছ ক্রয় করছেন। দু’দিনে প্রায় ৬০টির মত খেজুর গাছ, কিছু জাম গাছ ও পাঁপড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
কাঁঠ ব্যবসায়ী মান্নান গাজী জানান, পুকুরের পাড়ের জাম, পাপড়া ও খেজুর গাছগুলি তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা ও ইউপি সদস্য হাফেজ রুহল আমিন থেকে ক্রয় করেছেন। ক্রয়কৃত সব গাছ কেটে এখনও শেষ করতে পারেননি তারপরও ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছেন। তবে জেলা পরিষদের অনুমোদন আছে কি না, সেটা উনারা তাকে বলেননি বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী জানায়, গাছগুলো না কেটে পুকুর সংস্কার ও পাড় মেরামত করলে সেটা আরও মজবুত হতো। এ বিষয়ে জানার জন্য ইউপি সদস্য হাফেজ রুহল আমিনের সাথে বহুবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং ০১৭১৪-৫১৫০১৫ তে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অবশেষে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনি সাতক্ষীরাতে গেছেন। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১৩ নং ওয়ার্ড সদস্য এস এম দেলোয়ার হুসাইনের সাথে অনুমোদন ছাড়া জেলা পরিষদের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, “মামার সাথে সকালে আমার কথা হয়েছে। আমি পরে আপনাকে ফোন দেব।”

