সরাসরি নিয়োগে কোটার কোনো পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারের এ সিদ্ধান্ত এল।
এতে আরো বলা হয়, সিনিয়র স্টাফ নার্সের চার হাজার এবং মিডওয়াইফের ৬০০টি পদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্কুলারে উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিথিল করে ওই পদগুলো জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে, যা এককালীন না হয়ে সব সময়ে প্রযোজ্য হবে।
জানা গেছে, এই আদেশের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, জ্যেষ্ঠ সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (এপিডি) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সার্কুলার জারি করা হলে তা সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধীর জন্য এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ এবং নারী ও জেলা কোটার জন্য ১০ শতাংশ করে রয়েছে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ পদ।