কাগিসো রাবাদার গতিতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ডারবান টেস্টে দাপট দেখানো দলটি পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনেই ২৪৩ রানেই অলআউট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৯৬ রানে ৫ উইকেট নেন পেস বোলার রাবাদা। এছাড়া ৩ উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর ব্যাট হাতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ২২ বছর বয়সী পেস অলরাউন্ডার রাবাদা।
অস্ট্রেলিয়ার জবাবে ব্যাটিং নেমে দিনের শেষ বিকেলে মার্কওরামের উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মার্কওরামকে ১১ রানে ফেরান কামিন্স। মাত্র ২২ রানে ওরামের উইকেট হারিয়ে দিনের শেষ সেশনে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি আফ্রিকা। যে কারণে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় পেস বোলার রাবাদাকে।
বল হাতে দাপট দেখানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের জবাব দিচ্ছেন জোহানেসবার্গে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার। দিন শেষ ১৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে অপরাজিত আছেন রাবাদা। আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৯ রান।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে উদ্বোধনীতে ৯৮ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন ক্যামেরান বেনক্রফট। এরপর ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা। ৩৮ রানে ফেরেন বেনক্রফট।
প্রথম টেস্টে ডি ককের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে যাওয়া ওয়ার্নারকে সাজঘরে ফেরান লুঙ্গি এনিডিগি। প্রথম টেস্টের এই হাফসেঞ্চুরিয়ান ফেরেন ৬৩ রান করে। চতুর্থ উইকেটে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন স্টিভ স্মিথ।এই জুটতে ৪৪ রান যোগ করতেই রাবাদার শিকারে পরিণত হন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথ (২৫)।
ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে টানা চার বলে ৩ উইকেট তুলে নেন রাবাদা। শন মার্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আর মিসেল মার্সকে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন রাবাদা। তার গতির মুখে পড়ে শূন্য রানেই ফিরে যান কামিন্স। ১৮২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটিকে টেনে ২০০ পার করেন অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান নাথান লায়ন (১৭) ও হ্যাজলেউড (১০)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৪৩/১০ (ওয়ার্নার ৬৩, বেনক্রফট ৩৮; রাবাদা ৫/৯৬, লুঙ্গি ৩/৫১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৩৯/১ (রাবাদ ১৭*, এলগার ১১*)।