ক্যানোলা তেল
ক্যানোলা তেল সরষের তেলের মতো হলেও ঠিক সরষের তেল নয়। এর ঝাঁজ কম। ক্যানোলা অয়েলের আছে দেহের চর্বি কমানোর গুণ।
রাইস ব্র্যান তেল
কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান আছে রাইস ব্র্যান তেলে। এ কারণে এটি হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এতে আরো আছে প্রাকৃতিক ভিটামিন ‘ই’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। উচ্চ তাপমাত্রার রান্নায়ও তেলটির গুণাগুণ বজায় থাকে, যা অধিকাংশ তেলে থাকে না।
সূর্যমুখী তেল
খাদ্য রান্নায় দারুণ একটি তেল সূর্যমুখী। এতে আছে লিনোলেইক এসিড, যা দেহের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’, যা দেহের ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আলাদা কোনো গন্ধ না থাকায় এটি নানা ধরনের রান্নায় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহৃত হয়।
তিলের তেল
তিলের তেল সুগন্ধিযুক্ত। এটি এশিয়ার নানা দেশের সুস্বাদু খাবার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, ফ্যাটি এসিড, জিংক, কপার, ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান আছে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল হৃিপণ্ডের জন্য ভালো। মনো-আনস্যাচুরেটেড এই তেল বাজে কোলেস্টেরল কমাতে বেশ কাজ করে। এ ছাড়া নানা ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান আছে অলিভ অয়েলে। তবে বাড়তি আঁচের রান্নায় এই তেল গুণাগুণ হারায়।
সরষের তেল
ঝাঁজালো গন্ধ ও স্বাদের সরষের তেলের আছে বহু গুণ। প্রতিদিনের রান্নায় দারুণ উপকারী তেল এটি। এটি বেশি তাপের রান্নায়ও গুণ হারায় না। এতে উচ্চমাত্রায় মনো-আনস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড উপাদান আছে। প্রাচীনকাল থেকেই সরষের তেল নানা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
নারিকেল তেল
অনেকেই চুল ও ত্বকে মাখেন নারিকেল তেল। তবে রান্নায়ও নারিকেল তেলের ব্যবহার আছে। এ তেলে আছে উদ্ভিজ্জ ফ্যাট। কিছু খাবারে ভিন্ন স্বাদ আনতে এ তেল ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে।
— টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে