দৌড়াদৌড়ির মাঝে আমরা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খেয়াল রাখতে ভুলে যাই। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, একদিকে আয়ু কমতে থাকে, অন্যদিকে বাড়তে থাকে নানা রোগ ভোগের আশঙ্কা। দেখা যাচ্ছে গত এক দশকে আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পয়েছে লিভারের অসুখ। শরীরে মেদ জমতে থাকলে ধীরে ধীরে লিভারের কর্মক্ষমতাকে কমে যায়। ফলে শরীরে উপস্থিত বিষ বা টক্সিক উপাদান ঠিকমতো বেরতে পারে না, সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে শুরু করে।
ওজন কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে এই প্রকৃতিক উপাদনগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই লিভারকে চাঙ্গা রাখার মধ্যে দিয়ে যদি দীর্ঘ দিন বাঁচতে চান, তাহলে এইখাবারগুলিগুলি নিয়মিত খেতে ভুলবেন না। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবার খেতে বলা হয়েছে-
১) ব্রকলি: এই সবজিটির ভিতর উপস্থিত আইসোথিয়োসায়ানেট নামক উপাদান দেহের ভিতর প্রদাহের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ইলিনোস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে “নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার”এর মতো রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলির কেনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই লিভারকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ৩ দিন ব্রকলি খাওয়া দরকার।
২) কাঁচা আম: গবেষণায় দেখে গাছে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে কাঁচা আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, লিভার এবং গল ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও কাঁচা আম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩) আপেল: কথায় বলে, “প্রতিদিন যদি একটা করে আপেল খাওয়া যায়, তাহলে কোনও দিন চিকিৎসকের মুখ দেখতে হয় না।” আসলে আপেলে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান লিভারের ভিতর যাতে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছোট-বড় সব রোগ দূরে রাখে।
৪) গাজর: ক্যারোটিনয়েড নামে একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গাজরের শরীরে, যা দেহের ফ্রি রেডিকাল বা টক্সিক উপাদনদের কোনও অঙ্গের ধারে কাছে যেতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, কোনও অরগ্যানেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৫) লেবু: লেবুও একটি সাইট্রাস ফল, যাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লেবোনাইডস। এই উপাদানগুলি লিভারকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি শরীরের ভিতর যাতে অক্সিডাইজ ড্যামেজ বেশি মাত্রা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।