তথ্য ফাঁস কাণ্ডে বিপাকে ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ। মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে কার্যত নার্ভাস দেখিয়েছে তাকে। কংগ্রেসের সামনে মার্ক জানিয়েছেন, ফেসবুক তার তৈরি। এর সব দায়ভার তারই। যা ভুল হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আগামী দিনে ফেসবুকে তথ্য চুরি হওয়া আটকাতে তারা নতুন কী কী উপায় অবলম্বন করছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তথ্য চুরি রুখতে ফেসবুক গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপারে আরও কড়া হতে চাইছে। অন্যের পোস্ট শেয়ার করা (বিশেষ করে গ্রুপ থেকে), একই ইভেন্টে যাওয়ার খবর শেয়ার করার মতো বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। ডেভেলপাররা যাতে গ্রাহকদের খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্যের নাগাল না পান, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, গ্রাহকদের কোনও কোনও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে হলে অনুমোদন নিতে হবে বা চুক্তি সই করতে হবে। থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমেই কিন্তু তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই সেদিকেও বিশেষ নজর রাখছে ফেসবুক। সাধারণত বহু অ্যাপই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত বহু তথ্যের অ্যাকসেস চায়। ফেসবুকের নতুন নিয়মে এবার থেকে কেবল নাম, প্রোফাইল ফোটো ও ই-মেল-এর বেশি আর কোনও তথ্যই এই ধরনের অ্যাপগুলো চাইতে পারবে না। এমনকী, কোনও অ্যাপ যদি গ্রাহকরা শেষ ৩ মাসে ব্যবহার না করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ডেভেলপাররা অ্যাকসেস পাবেন না সেই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের। ফেসবুকে কাউকে খুঁজে বের করতে হলে অনেক সময়ই তাদের ফোন নম্বর বা ই-মেলও কাজে লাগে। বিশেষ করে একই নামের অন্য ব্যক্তিদের ভিতর থেকে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হলে। এবার থেকে এটা আর করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মার্ক।
ফেসবুকে যেসব বিষয় নিষিদ্ধ হচ্ছে!
পূর্ববর্তী পোস্ট