কলা খুবই পরিচিত এবং সহজলোভ্য একটি ফল। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়। কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি-এর আদর্শ উৎস। বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
আসুন কাঁচা কলা খাওয়া শুরু করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়-
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ডায়াটারি ফাইবার, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে থাকে, সেই সঙ্গে আর্টারির কর্মক্ষমতারে বাড়িয়ে তোলে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ রোগের রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়।
২) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে-
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কাঁচা কলা। অন্ত্রের পুষ্টি জোগায়। বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্তের। ডায়াবেটিস রোগীদের একদিকে উচ্চ মাত্রার এনার্জি যোগায়। অন্যদিকে কার্বোহাইড্রেটের নিম্নমাত্রার ক্যালরি প্রদান করে।
৩) ওজন কমাতে সাহায্য করে-
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। আর ক্ষিদে না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে যখন হতে থাকে, তখন ওজন কমতে সময় লাগে না।
৪) হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে-
পাকা কলার মত কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
৫) পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে-
কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচা কলা পেটের ভিতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।
৬) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে-
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। তবে ইচ্ছা হলে এ বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেই পারেন।