গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়। এ ছাড়াও, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। এছাড়াও জিরার আরও কয়েকটি গুণাগুণ হল-
১। জিরা পানির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এবং মিনারেল থাকে, যার ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব দূর হয়।
২। শরীরের থেকে টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করতে এই জিরা পানির জুড়ি মেলা ভার। সারা রাত পানি ভিজিয়ে রাখুন জিরা। সকালে খালি পেটে খান। এতে সারা দিন শরীর ঝরঝরে থাকে।
৩। অম্বলের সমস্যা থাকলে জিরা ভেজানো পানি খান। এতে লিভার সুস্থ থাকে।
৪। অনেকেই আছেন, যারা একটুতেই বিভিন্ন রোগের শিকার হন। তাদের জন্য জিরা পানি একদম যথাযথ টোটকা। কারণ, এতে ভিটামিন এ এবং সি থাকে।
৫। এই পানি নিয়মিত খেলে অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাবেন।
৬। নিয়মিত জিরা পানি খেলে অতিরিক্ত ওজন এবং মেদ কমবে।
কিন্তু কিভাবে খাবেন? আসুন জেনে নেয়া যাক-
এক: একটা গ্লাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।
দুই: যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।
তিন: কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।
চার: পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।