খেলাধুলো: ডিয়েগো জুনিয়রের বাবার নাম শুনলে চমকে ওঠার কথা। আর কেউ নন, স্বয়ং আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে ছেলেকে এতদিন স্বীকৃতি দেননি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। অবশেষে মন গলেছে ম্যারাডোনার, ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসিয়েছেন তিনি।
আশির দশকে ইতালির নাপোলি ক্লাবে খেলার সময় ক্রিস্তিনা সিনাগ্রা নামে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ম্যারাডোনার। সেই সম্পর্কের জেরে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হয়েছিল ডিয়েগো জুনিয়রের। ইতালির একটি আদালত ম্যারাডোনার ছেলে হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু বিখ্যাত বাবার স্বীকৃতিই এতদিন পাননি। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষা করতেও রাজি হননি আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
শেষ পর্যন্ত যে স্বীকৃতি পেলেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যারাডোনার বর্তমান প্রেমিকা রোসিও অলিভার। সম্প্রতি একটি নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন ডিয়েগো জুনিয়র। তখনই তাঁকে বাসায় ডিনারে আমন্ত্রণ জানান অলিভা। ম্যারাডোনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মেয়ে জানাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সী জানার মা ভ্যালেরিনা সাবালাইনও আদালতের মাধ্যমে মেয়ের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন।
নিজের বাসায় ছেলেমেয়েকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। বিশেষ করে ডিয়েগো জুনিয়রকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেকে পেয়ে আজ আমি ভীষণ খুশি। আমি তাকে ভালোবাসি আর সে অনেকটা আমার মতোই।’
সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফেনের ঘরে দালমা ও জিয়ান্নিনা নামে দুই মেয়ে আছে ম্যারাডোনার। সাবেক প্রেমিকা ভেরোনিকা ওহেদাও একটি ছেলেসন্তান উপহার দিয়েছেন তাঁকে। ডিয়েগো ফার্নান্দো নামের ছেলেটির বয়স তিন বছর।
পূর্ববর্তী পোস্ট