সারা দেশে আগামী ১০ মে থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে থাকবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল থেকে খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যাবে।
তবে নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলসহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় বৃষ্টি এবং ছোট আকারের কালবৈশাখী অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। তবে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী অব্যাহত থাকবে।
এর পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ২-৩ দিন কিছুটা কম থাকবে। এ সময় সাময়িক বিরতির পর ১০ মে থেকে সারা দেশে বৃষ্টি, কালবৈশাখী ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।খবর বাসস।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে নিকলিতে ২১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ময়মনসিংহে ১৭৯ মিলিমিটার এবং সর্বনিম্ন ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপ ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় মঙ্গলবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২০ মিনিট এবং আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট।