আপনার শরীরে কি ভিটামিন ডি-র ঘাটতি আছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে যে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ যাদের ঘুমের সমস্যা আছে বা রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর সময় থাকে না, তারাও সাবধান হোন৷ ঘুমের অভাব কিডনির স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে৷
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যা যা করা উচিত-
* গ্রিন টি পান করলে নাকি কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সিট্রাস ফল বা নানা ধরনের লেবু খাদ্য তালিকায় থাকলে কিডনিতে স্টোন হয় না৷ আরো বলা হয় যে গর্ভাবস্থা থেকেই মায়ের নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন৷ তাহলেই শিশুর কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷
* প্রচুর পানি পান করুন। তিন লিটারের কমে চলবে না, ৬০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়স্করা সাড়ে ৪ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারেন। ওজন বেশি হলে বা খুব ঘামলে পানি পান করার পরিমাণ আরো একটু বাড়ান। পানি আপনার শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখবে। যাদের হার্টের অসুখ বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে পানি পানের উপর বিধি নিষেধ আছে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
* কিডনি আপনার শরীরের ওয়াশরুম হিসেবে কাজ করে। সেটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টাটা আপনাকেই করতে হবে। যাদের ইউরিক অ্যাসিড, হাইপারটেনশন বা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ মেনে চলুন, রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিডনিও সুস্থ থাকবে। এই দু’টি রোগই কিন্তু কিডনির উপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে৷
* ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বন্ধ করতে হবে। এর সুদূরপ্রসারী ফল ভোগ করতে বাধ্য হয় আপনার শরীর৷ কিডনি সারা শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। আপনি যত ওষুধ খাবেন, তার রেসিডিউ এসে জমা হবে কিডনিতে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পেন কিলার বা অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।