আম্বাতি রাইডুর অপরাজিত সেঞ্চুরির উপর ভর করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দেওয়া ১৮০ রানের বিশাল টার্গেট অনায়াসে পেরিয়ে গেল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। এই জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত হলো চেন্নাইয়ের। অন্যদিকে টানা ৬ ম্যাচে জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেল সাকিবরা।
রবিবার বিকালে ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শুরুটা যদিও ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। দলীয় ১৮ রানেই ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের বড় জুটি গড়েন শিখর ধাওয়ান ও কেন উইলিয়ামসন। পরপর দুই বলে আউট হন দুজনই। ৪৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রান করেন ধাওয়ান। আর অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৩৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১।
এছাড়া দীপক হুদার ১১ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ২১ রানের ‘ক্যামিও’ ইনিংসে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে হায়দরাবাদ। সাকিব ১৮তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে এক চারে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। চেন্নাইয়ের হয়ে শার্দুল ঠাকুর সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া দীপক চাহার ও ডোয়াইন ব্রাভো পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই রানবন্যা বইয়ে দেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও আম্বাতি রাইডু। ওয়াটসন ৩৫ বলে ৫৭ রান করে রান আউট হলেও দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন রাইডু। উইকেটে জমে থেকে সুযোগ বুঝে বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে চলতি আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৬২ বলে খেলা তার অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটা সাত ছক্কা আর সাত চারে সাজানো।
হায়দ্রাবাদের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে সিদ্ধার্থ কৌলের ওপর দিয়ে। তিন ওভারে ৪০ রান দিয়েছেন তিনি। সাকিব ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। যদিও ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেতেন সাকিব। কিন্তু হাতে পড়া সহজ ক্যাচটা নিতে পারেননি মনিশ পাণ্ডে। এর পরের চার বলে সাকিব দেন আরও ১২ রান। বাকি বোলারদের মধ্যে রশিদ খান ছাড়া বাকিরা সবাই ওভারপ্রতি রান দিয়ে ৯ এর ওপরে।