আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস। এ তালিকার শীর্ষে আছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দ্বিতীয় আর তৃতীয় অবস্থানে আছেন যথাক্রমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তালিকার চতুর্থ স্থানে জায়গা পেয়েছেন জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
সম্প্রতি চীনের সংসদ কংগ্রেস আইন পরিবর্তন করে শি জিনপিং-কে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও তার ক্ষমতারও পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফোর্বস বলছে, স্থানীয়ভাবে এমন আস্থা ও ক্ষমতাই শি’কে তালিকার শীর্ষে নিয়ে এসেছে।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি মাসেই ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্রেমলিনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক এই কেজিবি এজেন্ট।
খুব একটা আশ্চর্যজনক না হলেও তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব সময় সবার আগে থাকতে চাওয়া ট্রাম্প এই খবরে নাখোশ হতেই পারেন। তবে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন ট্রাম্প।
বিশেষ করে সাবেক পর্নো তারকাসহ একাধিক নারীর সাথে তার যৌন সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এমনকি যে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই নির্বাচন নিয়েও আছে বিতর্ক। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এখনও নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে রুশ সংশ্লিষ্টা বিষয়ে তদন্ত করছে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে শীর্ষ নারী হিসেবে আছেন জার্মানীর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ২০১৭ সালে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বভার নেন তিনি। আর রাজনৈতিক বা কোন দেশের শীর্ষ পদের বাইরে থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা হয় আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও তিনি। আমাজনের ১৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন ক্যাথলিকদের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ মানুষের ধর্মের গুরু তিনি। বিশ্বের এক সময়ে শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আছেন সাত নম্বরে।
আর সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আছেন অষ্টম স্থানে। গত বছর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে তিনি গ্রেফতার করেছিলেন সৌদি আরবের বেশ কিছু শীর্ষ পর্যায়ের যুবরাজ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিককে। এছাড়াও দেশটিতে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন আনছেন তিনি। বিশেষ করে নারীদের জন্য ব্যাপক সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন তিনি।
এশীয়দের মধ্যে শীর্ষ এবং তালিকার নবম স্থানে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় নেতা যার টুইটারে ৪৩ লাখের বেশি অনুসারী আছেন।
১০ জনের তালিকার সর্বশেষ অবস্থানে আছেন বিশ্বের সর্ববৃহত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। ১৯৯৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে গুগল তৈরি করা দলের সদস্য হয়ে যান এই বিলিয়নিয়ার।