জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি বুধবার (১৬ মে) রায় ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) দিন ধার্য থাকলেও। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘আমি আরও কিছু যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে চাই।’ এরপর বেলা সাড়ে ১১টা সময় নির্ধারণ করে যুক্তিতর্ক তুলে ধরার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট চারটি দিক বিবেচনায় তাঁকে চার মাসের জামিন দেন।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন। অন্যদিকে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানির জন্য ৮ মে দিন রাখেন আপিল বিভাগ।
এদিকে আজ খালেদা জিয়ার জামিন হতে পারে—এই আশায় সকাল আটটা থেকে হাইকোর্টের সামনে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সোয়া নয়টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাইকোর্টের গেটের কাছ থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল পুলিশ। হাইকোর্টের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান, জলকামান ও পুলিশ পরিবহন গাড়ি রাখা হয়েছে সেখানে।