আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় চাচাচতো বোনকে (১৮) ভারতে পাচারের অভিযোগে চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান গাজীকে (৩৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান গাজী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্যাংদহা গ্রামের মৃত কেয়াম উদ্দীনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৮ জুন সকাল ৯টার দিকে আসামী হাবিবুর তার চাচাতো বোনকে (১৮) তার শ^শুর বাড়ি যশোর জেলা বাঁগআচড়া গ্রামে বেড়াতে নিয়ে যায়। হাবিবুর তার শ^শুর বাড়িতে তাকে তিন দিন রাখার পর ১১ জুন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার নামে পথিমধ্যে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে সে ভারতের বিজয় নগর পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে সে বাড়িতে চলে আসে। সেখানে ৪ মাস থাকার পর বাংলাদেশী এক লোকের সহযোগিতায় ওই তরুনী দেশে ফিরে এসে সে নিজে বাদী হয়ে চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমানের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আজ এ মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে, এ রায়ের সময় আসামী হাবিবুর রহমান পলাতক ছিলো।
এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ছিলেন সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।