স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্য ২১৯ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই রানপাহাড়ের জবাবটা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মনিশ পান্ডে। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলকে নিয়েও যাচ্ছিলেন জয়ের বন্দরে। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার মিললো না সাকিব আল হাসানদের।
আইপিএলের টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে জিততে জিততে হেরে গেল হায়দরাবাদ। সাকিবদের ১৪ রানে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু।
কোহলিদের ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৭ রানের ভেতর দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও অ্যালেক্স হেলসকে হারায় হায়দরাবাদ। সেখান থেকে দলকে জয়ের কক্ষপথে ফেরান উইলিয়ামসন ও মনিশ। বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে তৃতীয় উইকেটে এ দু’জন গড়েন ১৩৫ রানের বিশাল জুটি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মোহাম্মদ সিরাজের করা সেই ওভারের প্রথম বলেই আউট হন উইলিয়ামসনও। ফলে জয় থেকে ছিটকে যায় হায়দরাবাদ।
উইলিয়ামসন খেলেন ৪২ বলে ৮১ রানের ইনিংস। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ইনিংসটি সাজিয়েছেন সাত চার ও পাঁচ ছক্কার মারে।
অন্যদিকে, শুরুতে রয়েসয়ে খেললেও ক্রমেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মনিশ। সাত চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ বলে ৬২ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
একটি করে উইকেট নেন যুবেন্দ্র চাহাল, মোহাম্মদ সিরাজ ও মঈন আলী।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারায় কোহলির দল। দলীয় ছয় রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পার্থিব প্যাটেল। ৩০ রানের ব্যবধানে আউট হন ছন্দে থাকা কোহলিও। ১১ বলে ১২ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বিপর্যয় থেকে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে উদ্ধার করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও মঈন আলী। ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন সাকিব ও তার সতীর্থ বোলারদের ওপর। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনে তৃতীয় উইকেটে দু’জন গড়েছেন ১০৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এই জুটিতেই ম্যাচে ফেরে বেঙ্গালুরু। এ দুজনের ব্যাটে চড়েই ছয় উইকেটে ২১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দলটি।
দলীয় ১৪৫ রানে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৯ রান করে আউট হন ডি ভিলিয়ার্স। পাঁচ রান ব্যবধানে থামেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈনও। ৩৪ বলে ছয় ছক্কা ও দুই চারে ৬৫ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপরও থামেনি বেঙ্গলুরুর দাপট। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের ১৭ বলে ৪০ ও সরফরাজ খানের ৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২০০ পেরিয়ে যায় দলটি।
চার ওভার বল করে ৩৫ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি সাকিব। ২৭ রানে তিন উইকেট নেন হায়দরাবাদের আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান।
দুই উইকেট পেয়েছেন সিদ্ধার্থ কউল ও এক উইকেট নেন সন্দ্বীপ শর্মা।