স্পোর্টস ডেস্ক: সমালোচনায় পড়ে অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি সেই আগের মতোই আছেন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড একাদশে থেকেই অসাধারণ এই রেকর্ড স্পর্শ করেছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। ক্রিকেটের অবিশ্বাস্য কীর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালান বোর্ডারের টানা ১৫৩ টেস্ট খেলার রেকর্ড। এবার কুক ভাগীদার হলেন সেই রেকর্ডের।
ধারাবাহিকতা, একাগ্রতা আর দুর্দান্ত ফিটনেসের জ্বলন্ত বিজ্ঞাপন তিনি। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই কুককে মনে করা হতো ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত। সেটিকে সত্যি প্রমাণ করেন অভিষেক টেস্টেই। ২০০৬ সালে একাডেমি দলের হয়ে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। মার্কাস ট্রেসকোথিকের জায়গায় হঠাতই ডাক পান জাতীয় দলে। ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে অভিষেক টেস্টেই খেলেন ৬০ ও অপরাজিত ১০৪ রানের দুটি ইনিংস। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
ওই বছরই ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে টানা খেলা শুরু হয় কুকের। ২০১৮ সালে এসে সেই লর্ডসেই এশিয়ার অপর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে রেকর্ডের চূড়ায় বসেন কুক। সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টানা ১৫৩ টেস্ট খেলেছিলেন। অবিশ্বাস্য সেই রেকর্ড দীর্ঘদিন ছিল সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন অদ্ভুত ফিটনেস, ফর্ম বিস্ময় জাগানোর মতো। কিন্তু ক্রিকেটের কোনো রেকর্ডই হয়তো নিরাপদ নয়। তাইতো ফর্মহীনতা, বাদ পড়া, ফিটনেস, চোট সমস্যা বা অন্য কিছুই থামাতে পারেনি কুককে!
রেকর্ড গড়ার দিনে ১৪৮ বলে ৭০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন কুক। তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। বাকীদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৮৪ রানে অল-আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। বিস্মিত বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গণে এখন প্রশ্ন একটাই, অদ্ভুত ফর্মের অধিকারী কুক কবে এবং কোথায় থামবেন? যদিও এর উত্তর আপাতত কেউ জানে না।