স্পোর্টস ডেস্ক: শেষমেষ নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল ১০ বলে রশিদ খানের সেই ৩৪ রানের ইনিংস৷ আফগান স্পিনারের ব্যাটিং ঝড়ই কেকেআরকে ১৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠল সানরাইজার্স৷ এই নিয়ে দু’বার ফাইনালে উঠল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ৷ শেষবার ২০১৬ সালে আইপিএল ফাইনালে উঠেছিল তারা। ফাইনালে মুম্বাইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ৷
চলতি আইপিএলে সেরা বোলিং লাইন আপ যে হায়দরাবাদেরই, সে কথা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। যে দলে ভুবনেশ্বর কুমার, সাকিব-আল-হাসান এবং অবশ্যই রশিদ খানের মতো বোলার থাকেন, সে দলে বোধহয় অধিনায়কের কাজটাও সহজ হয়ে যায় অনেকটা। এদিনও কেকেআরকে হারানোর কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে সানরাইজার্স বোলারদেরই প্রাপ্য।
শুক্রবার টস হেরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ব্যাট করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শিখর ধাওয়ান দলকে এনে দেন ভালো শুরু। ঋদ্ধিমান ২৭ বলে করেন ৩৫ ও আরেক ওপেনার ধাওয়ান ২৪ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।দারুণ ছন্দে থাকা হায়দরাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসন ফিরে যান মাত্র ৩ রান করে। মিডল অর্ডারে দলকে টানেন সাকিব।
সুনিল নারাইনকে টানা দুই চার হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ২৪ বলে চারটি চারে ২৮ রান দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হন এই অলরাউউন্ডার। শেষের দিকে রশিদ খান খেলেন টর্নেডো এক ইনিংস। রশিদ খানের মাত্র ১০ বলে চারটি ছক্কা আর দুটি চারে অপরাজিত ৩৪ রানের সেই ইনিংসের ওপর ভর করে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ।
১৭৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিন ও নারাইনের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া হায়দরাবাদের বোলিং। তবে সাকিব আল হাসান ও রশিদ খানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিজ ছন্দে ফিরে আসে তারা। সব মিলিয়ে সাকিব ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। লেগ স্পিনার রশিদ ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন সিদ্ধার্থ কাউল ও ব্র্যাথওয়েট।
কলকাতার পক্ষে লিন ৩১ বলে ৪৮, নারাইনের ১৩ বলে ২৬ রান করেন। এরপর পর দলকে টানেন শুভমান গিল। তিনি ফিরে যান ২০ বলে ৩০ রান করে। আগামী রবিবার ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খেলবে হায়দরাবাদ।