ন্যাশনাল ডেস্ক: দুর্নীতি আর সহ্য করতে রাজি নন বিকল্প ধারার সভাপতি এবং তৃতীয় শক্তি হওয়ার আশায় গড়ে তোলা যুক্তফ্রন্টের শরিক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসতে চান তাদেরকে বুঝেশুনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা যেন বুঝতে পারেন দেশের মানুষ দুর্নীতিকে ঘৃণা করে। দে হেইট অল কাইন্ডস অব করাপশন। আমরা করাপশন দুর্নীতি সহ্য করতে রাজি নই, অনেক সহ্য করেছি। আর করব, না।’
রবিবার (২৭ মে) রাজধানীর এশিয়া হোটেলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক এই রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় মাহাথির জনগণকে নিয়ে যে বিদ্রোহ করেছিলেন সেটা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেখানে নির্বাচনের আগে তিনি একটা কথাই বললেন, আমার দেশে এই দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না। সেই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র, ব্যাস। ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর।’
বি. চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার এবং ভবিষ্যতের যে কোনো সরকার, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকবেন না, যারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না, যারা গণতন্ত্রকে অস্বীকার করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আছি। আমরা তাদেরকে অস্বীকার করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তির একটাই পথ, আমি আবারও বলছি কেউ দুঃখিত হবেন না, মন বেজার করবেন না, একটাই পথ, আমাদেরকে জাগিয়ে দিতে হবে, আমাদের পেছনে সংহত হতে হবে, আমাদের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক সন্ত্রাস সহ্য করেছি, গুম দেখেছি, নিহত দেখেছি, গ্রেফতার দেখেছি, আর সহ্য করব না। আমরা অনেক অগণতন্ত্র দেখেছি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারের পরও রায় মানা হয় না। হাইকোর্টের বিচারের পরও রায় মানা হয় না। রায়ের অধীনে যে বক্তব্য দেয়া হয় তা সে বক্তব্যের অধীনে মানুষকে মুক্তি দেয়া হয় না। হাজার হাজার মানুষ জেলে, কতদিন চলবে এগুলো? আমরা আর সহ্য করতে রাজি না। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, এই জাগরণ থাকবে, আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।