নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ আব্দুল মান্নান এর পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে একজন অমুক্তিযোদ্ধার পক্ষে স্বাক্ষী না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ২বছরের এক শিশু সহ ৬জন নারী ও পুরুষ আহত হয়েছে। হামলাকালে বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও গাছ কেটে সাবাড় করে দেওয়া হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে রোববার সকালে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সাধারন সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, তালা উপজেলা সভাপতি জাহিদুর রহমান লিটু, আ.লীগ নেতা দেবাশীষ মূখার্জ্জী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী, সন্তান কমান্ডের নেতা মোস্তফা সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ আহতদের দেখতে তালা হাসপাতালে যান এবং তাদের খোজ খবর নেন।
আহত শেখ আ. শাহীন পলাশ জানান, তার পিতা মরহুম মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান। যে কারনে তালা উপজেলায় নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নকালে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন করার সময় আমার মা লতিফুন্নেছা বেগমের কাছে মাগুরা গ্রামের আব্দুল হালিম টুটুল ও তার ভাই সেলিম এবং বাবুল তাদের পিতা মৃত. শেখ আব্দুল লতিফকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর নেবার জন্য আসে। কিন্তু মৃত. শেখ আব্দুল লতিফ অমুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় আমার মা উক্ত আবেদনে স্বাক্ষর না দেওয়ায় টুটুল গং ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এনিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে দ্বন্ধ সৃষ্টি হবার এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে আব্দুল হালিম টুটুল সহ তার ভাই সেলিম এবং বাবুল মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করে এবং মরহুম মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এতে বাঁধা দিতে আসলে হামলাকারী মরহুম মুক্তিযোদ্ধার ২বছরের শিশু নাতনী জান্নাতুল মাওয়া ও জান্নাতুল হাওয়া সহ স্ত্রী লতিফুন্নেছা বেগম, পুত্র শেখ আ. শাহীন, মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং মেয়ে জামাই মাসুদ রানাকে পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া হামলার চিত্র মোবাইল ফোনে ধারন করায় হামলাকারীরা দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের মধ্যে ফেলে নষ্ট করে দেয়। হামলায় আহতদের মধ্যে শিশু জান্নাতুল মাওয়া, শেখ আ. শাহীন, জেসমিন আক্তার এবং মাসুদ রানার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা ও তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে, হামলার পর থেকে আহতদের পরিবারকে উক্ত হামলাকারীরা নানাবিধ হুমকি প্রদান করছে এবং এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পলাশ দাবী করেছে।
তালায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা; নারী ও শিশুসহ আহত ৬
পূর্ববর্তী পোস্ট