ভিন্ন স্বাদের খবর: আপনি যদি আপনার দিনের সময় আরও বেশি করতে চান, তাহলে পৃথিবীর উত্তরের দিকে যেতে থাকেন। কতটা উত্তরে জানেন কি? আর্কটিক বৃত্তের কাছাকাছি চলে যান।
গ্রীষ্মকালে আর্কটিক বা সুমেরু বৃত্তের নিকটে সূর্য অস্ত যায় না। বস্তুত, এই ঘটনাটি সুমেরুবৃত্ত নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। বিষুবরেখার মত, সুমেরুবৃত্ত একটি কল্পিত লাইন বা রেখা। এখানে, সূর্য অস্ত যায় না। বিশেষ করে তা গ্রীষ্মকালের ২১ জুনে হয়।
উত্তরের সুমেরুবৃত্তে ধ্রুব রোদ প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আবার, এর বিপরীত দিকে শীতের সময় সেখানে সূর্যোদয় হয় না। সাধারণত ২১শে ডিসেম্বর এর কাছাকাছি সময়ে সেখানে সূর্যোদয় হয় না। আপনি কখনও চিন্তা করেছেন, বছরের ছয় মাস শুধু দিন আবার অপর ছয় মাস শুধু রাত হলে সেখানে বসবাস করা সম্ভব কিনা?
সুমেরু বৃত্তের আশেপাশে ও বর্ডারে বিভিন্ন দেশ রয়েছে। অনেক মানুষ এসব এলাকাকে ‘মধ্যরাত্রি সূর্যের ভূমি’ বলে থাকেন। কারণ, সেখানে প্রায়ই মাঝরাতে সূর্য দেখা যায়। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রান্তের কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, রাশিয়া, আলাস্কা এবং আইসল্যান্ড।
আপনি যদি সূর্যকে অনেক বেশি ভালবেসে থাকেন, তাহলে আপনার গ্রীষ্মের ছুটির জন্য নরওয়ের স্বালবার্ড এ ভ্রমণ করে আসতে পারেন। সেখানে এপ্রিলের ১৯ তারিখ থেকে অগাস্ট এর ২৩ তারিখ পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। আবার, এর বিপরীত সময়ে সূর্যোদয় হয় না।
এ ঘটনাটি ঘটার কারণ হল, পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর ২৩ ডিগ্রি পরিমাণে হেলানো অবস্থায় রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর হিসেবে, সেখানে প্রতি বছরে মাত্র একবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়।
অবশ্যই, এই ঘটনা শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। এরকম পরিস্থিতি দক্ষিনাঞ্চলেও সাধিত হয়, এন্টার্কটিক বৃত্তের কাছাকাছি। সেখানে স্থায়ী কোন জনবসতি নেই। তাই, সেখানে কম মানুষ এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়।
এসব এলাকায় যারা বসবাস করেন, তারা অনেক দিন পর্যন্ত সূর্যালোক বা অন্ধকারে থাকার বিষয়ে অভ্যস্ত। যারা এখানে নতুন করে বাস করতে যায় বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যায় তাদের সেখানে সামঞ্জস্য করতে অসুবিধা হয়। মূলত, তাদের ঘুমাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়, কারণ সারারাত সূর্যালোক থাকে। সূর্যের আলোতে সারারাতের ঘুম পূরণ করা অবশ্যই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।