ন্যাশনাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ জুন) ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেভিড মিলিব্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আইআরসি প্রধানের মধ্যে মূলতঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তিনি মিলিব্যান্ডকে জানান, যে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে এবং এতে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ স্থানে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হচ্ছে এবং তাদের স্থানান্তরের লক্ষ্যে ভাষাণচর নামের একটি দ্বীপের উন্নয়ন কাজ চলছে।’
আইআরসি প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, ‘রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে তিনি একটি টিম নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।’
ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিক মিলিব্যান্ড ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় বিষয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে তাৎপর্যপূর্ণ এক মানবিক দৃষ্টান্ত এবং যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একটি সংকেত।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সাহায্যে আইআরসি’র একটি টিম বাংলাদেশে কাজ করছে এবং তাদের এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই কার্যক্রমে আমরা বাংলাদেশ থেকে ১শ’ স্টাফ নিয়োগ করবো।’
‘আসন্ন বর্ষায় ভূমিধস হবে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধান সমস্যা’ এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ও আইআরসি প্রধান।
মিলিব্যান্ড রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৩৩ সালে আলবার্ট আইনস্টাইনের অনুরোধে প্রতিষ্ঠিত আইআরসি শরণার্থী এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় কাজ করছে। সংস্থা বর্তমানে শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও আত্মনির্ভরশীল করতে ৪০টিরও বেশি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২৮টি সিটিতে কাজ করছে। সূত্র: বাসস