খেলার খবর: গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ে কোস্টারিকার জালে ২ বার বল জড়ান তিতের শীর্ষ্যরা। ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করেন কৌতিনহো। আর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার।
খেলার একবারে শেষ মুহূর্তে এসে জয়ের দেখা পেল তারা। পুরো ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রাজিলিয়ানরা।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে এসে অবশেষে হতাশা কাটে ব্রাজিলের। ফার্নান্দোর ক্রস পেয়ে বক্সের মধ্যে ফিরমিনোর মাথা হয়ে হেসুসের পায়ে বল যায়। সেখান থেকে তিনি সেটা দেন দৌঁড়ে আসা কৌতিনহোকে। বার্সার মিডফিল্ডার দেরি না করে সেটা সোজা জালে ঢুকিয়ে দেন (১-০)।
চতুর্থ মিনিটে ফিরমিনো আর কৌতিনহোর ওয়ান টু ওয়ান পাসে আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে এসে দুর্দান্ত আরেকটি গোল করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বক্সের ডানপাশ থেকে কস্তার পাস থেকে গোল করেন নেইমার (২-০)।
২-০ গোলে কোস্টারিকার বিপক্ষে জিতে গেল হেক্সা মিশনের যাত্রী ব্রাজিল। আর এতে আবেগাপ্লুত হয়ে মাঠেই কেঁদে ফেললেন ব্রাজিলের পোস্টারবয় নেইমার।
ব্রাজিল-কোস্টারিকার প্রথমার্ধ্ব-দ্বিতীয়ার্ধ্ব গেল গোল পায়নি কেউিই। কোস্টারিকার `ডিফেন্ডার পালোয়ানরা` আটকে রেখেছিলেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলিয়ান তারকাদের। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের সুযোগ মিস করলেন না মিডফিল্ডার কুতিনহো আর সেরা স্ট্রাইকার নেইমার। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় নেইমারের দল।
এরপরেই মাঠে দেখা গেল আনন্দ-অশ্রুর খেলা। ম্যাচ শেষ, মাঠেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন পোস্টারবয় নেইমার। চোখের জল ফেললেন সবুজ ঘাসেই। আর এ জল তার কষ্টের নয়, মহা আনন্দের। আনন্দ-আপ্লুত এ জন্যই বলতে হবে, একেতো রাশিয়া বিশ্বকাপ মিশনে সেলাসাওদের এটি প্রথম জয়, আবার তার প্রথম গোল।
কান্না দেখে এটাই মনে হচ্ছিল, কোটি কোটি দর্শক-সমর্থকদের আনন্দ দিতে পেরে আপ্লুত নেইমার। তাদের হাসাতে পেরেই কাঁদছেন এই `আবেগময়` তারকা।