খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারকে নিয়ে সোশ্যাল সাইটে বেশ ট্রলিং চলছে। তার আঘাত পাওয়ার অভিনয় এর পেছনে মূল কারণ। কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে পেনাল্টি পাওয়ার জন্য পড়ে যাওয়ার অভিনয় করেছিলেন ব্রাজিল সুপারস্টার। এরপর ম্যাচ জয় শেষে মাঠে বসে কাঁদেন তিনি। এসব অনেকের কাছে হাস্যকর লাগলেও পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলের এই ওয়ান্ডার বয়!
মেসি-রোনালদো-নেইমার তিনজনের দলই উঠে গেছে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে। আগামীকালের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে লড়বে মেসিরা। আর সুয়ারেসদের উরুগুয়ের বিপক্ষে রোনালদোর পর্তুগাল। ব্রাজিল দলে অনেক তারকা থাকলেও মেসি-রোনালদো যেন নিজ নিজ দলে ‘ওয়ান ম্যান শো।’ তারপরেও এই দুই মহাতারকার চেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছে নেইমারকেই।
পরিসংখ্যান বলছে, রোনালদোকে আটকাতে করা হয়েছে ১৩ ফাউল। মেসিকে করা হয়েছে তারও কম। কিন্তু এক নেইমারকেই ১৭ বার সহ্য করতে হয়েছে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের মার। হ্যাঁ, গত তিন ম্যাচে ১৭বার ফাউল করা হয়েছে নেইমারকে। এটাই সর্বোচ্চ। রোনালদো দুই নম্বরে আছেন। উরুগুয়ের দুই তারকা সুয়ারেস-কাভানিকে করা ফাউলের মিলিত সংখ্যাটা দশের বেশি নয়।
‘ফাউলময়’ রাশিয়া বিশ্বকাপ মাঝপথেই কিন্তু পেনাল্টির নতুন রেকর্ড গড়েছে। ১৬ বছর আগে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে পেনাল্টি হয়েছিল ১৮টি। মিশরের বিপক্ষে সৌদি আরব দুটি পেনাল্টি পেলে সেই রেকর্ড স্পর্শ করে রাশিয়ার আসর। পরের ম্যাচে ৫২ মিনিটে পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদো ইরানের ডিবক্সে ফাউল হলে নতুন রেকর্ড হয়। যদিও এই বিশ্বকাপের ১৯তম পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি তিনি।