স্পোর্টস ডেস্ক: এমনিতে মিরপুরের দ্বিতীয় ম্যাচে খুব একটা রান-বন্যা দেখা যায় না। রাজশাহীর দেওয়া ১২৯ রানও যে রংপুরের সামনে বিরাট বাধা হয়ে যাবে, অনুমান করা যাচ্ছিল। মিরাজ-নাজমুলদের ঘূর্ণিতে সেটি হলোও। রংপুর লক্ষ্যে পৌঁছাবে কী, ব্যাটসম্যানরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকল যাওয়া-আসায়।
সৌম্য সরকারকে স্টাম্পড করে রংপুরের ধস শুরু মিরাজের হাতে। রাজশাহী অলরাউন্ডার পরে তুলে নেন নাসির জামশেদকেও। তবে রংপুরের ব্যাটসম্যানদের কাছে সবচেয়ে বেশি দুর্বোধ্য হয়েছে নাজমুলের বোলিং। রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে ১ মেডেন ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মিরাজকে দেখা গেছে দুর্দান্ত বোলার হিসেবে। বিপিএলেও তাঁকে শুধু বোলার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। তবে অনেক দিন পর ব্যাটসম্যান মিরাজকে দেখা গেছে আজ। আগের ৯ ম্যাচে ৬ ইনিংসে মিরাজের রান ২০। হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে বারবার পরিবর্তন আর ম্যাচ-পরিস্থিতির কারণেই আগের ম্যাচগুলোয় ব্যাটসম্যান মিরাজকে দেখা যায়নি।
রাজশাহীর বিপর্যয়ই ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে মিরাজকে! যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন ৮.৪ ওভারে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে রাজশাহী। তাঁর সামনেই ফিরে যান দলের অন্যতম ভরসা সাব্বির রহমান। চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে কী, ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারানো রাজশাহীর সামনে তখন অলআউট হওয়ার শঙ্কা! মিরাজের রান তখন ১।
চাপের মুখে যে অসাধারণ খেলেন, সেটিই আরেকবার প্রমাণ করলেন মিরাজ। শুরুর দিকে কোনো বাউন্ডারি মারার ঝুঁকিই নেননি। এক-দুই করে স্ট্রাইক রোটেট করেছেন। প্রথম বাউন্ডারিটা তৃতীয় বলে মারলেও পরেরটির জন্য অপেক্ষা করেছেন ২১ বল। মিরাজ সবচেয়ে আক্রমণাত্মক হয়েছেন রুবেল হোসেনের করা শেষ ওভারে। প্রথমে স্কুপে চার, পরের বলেই উড়িয়ে মেরেছেন লং অফ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী অলরাউন্ডার অপরাজিত ৩৩ বলে ৪১ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ।
এক প্রান্তে মিরাজ, আরেক পাশে জ্বলে ওঠেন ফরহাদ রেজা। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে তাঁর চার-ছক্কা সমান, দুটি করে। মিরাজ-ফরহাদের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে এসেছে ৬৪ বলে ৮৫ রান। এই জয়ে শেষ চারের আশাটা আরেকটু উজ্জ্বল হয়েছে রাজশাহীর।
পূর্ববর্তী পোস্ট