দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ ১৫ দিনের জায়গায় আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ এ আদেশে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে গত ২ জুন সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। ওই কমিটিতে সাত জন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। কমিটি গঠনের দিন থেকে ১৫ কর্মদিবস অর্থাৎ ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরির কোটার বিন্যাস হচ্ছে- মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ (ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি), নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ। এই মোট ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে এক শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।
এই কোটা ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেছিলেন— ‘কোটা পদ্ধতিই থাকবে না ।’ পরে অবশ্য জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, আদালতের নির্দেশ থাকায় কোটা পদ্ধতি বাতিল করা সম্ভব নয়।